ফের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে। গত ৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের বান্দ্রা থানার ল্যান্ডলাইনে ফোন করে প্রাণনাশের এ হুমকি দেওয়া হয় তাকে।
এখন পর্যন্ত শাহরুখ বিষয়টি নিয়ে কোনো বক্তব্য না দিলেও হুমকিদাতাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিনেতার হুমকিদাতাকে খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালে ‘আঞ্জাম’ সিনেমায় শাহরুখের একটি সংলাপ ছিল। অনেকেই দাবি করেছিলেন, সেই সংলাপ ছিল হরিণ শিকারের ক্ষেত্রে উসকানিমূলক। সেই মর্মে একটি অভিযোগও দায়ের হয়েছিল মুম্বই পুলিশে।
কে ছিলেন সেই অভিযোগ দায়েরকারী?
নাম জানলেই চমকে উঠবেন! ফয়জান খান। বৃহস্পতিবার শাহরুখ খানকে খুনের হুমকি দেওয়া ফোন নম্বরের মালিক যিনি।
এদিন কড়া পুলিশি জেরার মুখে পড়ে ফয়জান নিজেই জানিয়েছেন যে, তিনি নয়ের দশকে ‘আঞ্জাম’ সিনেমার ওই সংলাপের জন্যই শাহরুখের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু কেন?
এখানেই টুইস্ট! পুলিশি বয়ানে ফয়জানের মন্তব্য, “আমি রাজস্থানের লোক। বিষ্ণোই সম্প্রদায় আমার বন্ধু। আর হরিণ রক্ষা করা ওদের ধর্ম। তাই কোনও মুসসিম ধর্মাবলম্বী (শাহরুখ) কেউ যদি হরিণ হত্যায় উসকানি দেয়, সেটা অপরাধ।
এইজন্যই আমি আপত্তি তুলেছিলাম।” ১৯৯৪ সালের সেই প্রতিশোধ নিতেই কি তাই এবার বলিউড বাদশাকে খুনের হুমকি দিলেন ফয়জান খান?
ছত্তিশগড়ের এই ব্যক্তির দাবি, গত ২ নভেম্বর শাহরুখের জন্মদিনে তাঁর মোবাইল ফোন চুরি হয়। তাঁর কথায়, “আমার চুরি করা ফোন থেকেই কেউ হুমকি দিয়েছে। কারণ, ফোন খোয়া যাওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছি আমি।”
এবার ফয়জান খানকে জেরার পর ধন্দে পুলিশ। ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে শাহরুখ খানকে আসলে খুনের হুমকি তাহলে দিল কে?
ফয়জানের দাবি, শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে তাঁর দায়ের করা অভিযোগের কথা নিশ্চয়ই কেউ জানতেন। তাই তাঁর ফোন চুরি করে বাদশাকে খুনের হুমকি দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র কষেছে।
এদিকে কৃষ্ণসার হরিণহত্যার অভিযোগে সালমানকে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মাথা লরেন্স বিষ্ণোই।
বৃহস্পতিবার একইদিনে আবার খুনের হুমকি শাহরুখ-সালমানকে। তাহলে কি এক্ষেত্রেও বিষ্ণোই গ্যাংয়ের যোগসূত্র?
সালমান খানের পর এবার শাহরুখ খানকে খুনের হুমকির নেপথ্যে কি বিষ্ণোই গ্যাং? এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়! কারণ বাবা সিদ্দিকির খুনের দায় স্বীকার করে নিয়ে বিষ্ণোইরা আগেভাগেই শাসানি দিয়েছে যে, “সালমান ঘনিষ্ঠদের এমন পরিণতিই হবে!”
নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এবার তাই জন্মদিনে মন্নতের ছাদে ‘চাঁদ’ও দেখা যায়নি! এবার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে ওই ব্যক্তিকে বাগে পাওয়ার পর জেরা করে যে তথ্য এল পুলিশের কাছে, তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।
জেএন/পিআর