বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ হবে তারা সিদ্ধান্ত নেবে, এর বাইরে অনির্বাচিত কারো কোনো অধিকার নেই।
জাতীয় ঐকমত্যের পরিপ্রেক্ষিতে যতটুকু হবে সহসা সমাধান করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতি তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি দেখতে চায়, নির্বাচিত সরকার দেখতে চায়। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার আগে এক পথসভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
আমীর খসরু বলেন, ‘এ সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। আমরা এ সরকারকে আসামাত্রই সমর্থন দিয়েছি, এ সরকারকে আমরা এখনো সমর্থন দিচ্ছি। তাদের আমরা শেষ পর্যন্ত সমর্থন দেব।
আমরা চাই, এ সরকার গণতন্ত্রের অধিকার ফিরিয়ে আনবে। তার জন্য আমরা সবাই মিলে কাজ করব। আমাদের ঐক্য নষ্ট করা যাবে না। তারেক রহমান যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন তা অটুট থাকতে হবে।
ঐক্য অটুট রেখে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার দিকে যেতে হবে, নির্বাচনের দিকে যেতে, নির্বাচিত সরকারের দিকে যেতে হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিত্বহীন কোনো সরকার জনগণের কথা বুঝবে না, জনগণের কষ্ট বুঝবে না। কারণ বুঝতে হলে জনগণের কাছ যেতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বুঝতে হবে।
বিদ্যুতের বিল দিতে পারছে না, সেটা বুঝতে হবে, দু’বেলা খেতে পারছে না সেটা বুঝতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণে শেষ ধাক্কা যখন দিয়েছে শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন। যদি পটভূমি, সেই অবস্থা সৃষ্টি না হতো তাহলে শেখ হাসিনাকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর সুযোগ ছিল না।
এখন অনেক গল্প শুনছি, শেখ হাসিনার পতনের গল্পের শেষ নেই। প্রত্যেক দিন নতুন নতুন গল্প শুনছি। ওরা নাকি এটা করেছে, সেটা করেছে।
১৫ বছর যখন আমরা রাস্তায় আন্দোলন করেছি, জীবন দিয়েছি, গুম-হত্যার শিকার হয়েছি, জেলে গিয়েছি বারবার, তখন তো তোমাদের এসব গল্প দেখিনি। তোমাদের ছিল কেউ, আমাদের সঙ্গে তো তখন কেউ আসেনি।
জেএন/পিআর