চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে তখন আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তখন তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। ঠিক ৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এসেও আওয়ামীলীগের নেতারা পেছনের দরজা দিয়ে নেতাকর্মীদের এতিম করে ভারতে পালিয়ে গেছে। তাহলে আপনার কি বিশ্বাস করেন ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে আওয়ামী লীগ না পালিয়ে থাকবে? শেখ মুজিব পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সেই কথা তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের লিখিত বইতেও লেখা আছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের কথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন।
তিনি বুধবার সন্ধ্যায় লালদিঘির পাড়স্থ জেলা পরিষদ চত্বরে কোতোয়ালী থানা বিএনপির পক্ষ থেকে চসিক মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় সংবর্ধনা ও বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হশেম বক্কর।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২৫ শেষ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গণহত্যা শুরু করল তখন মেজর জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট যেটি চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যানের পাশে আছে সেখানে সৈনিকদের একত্রিত করে জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জিয়াউর রহমান সেদিন বলেছিলেন, আজ থেকে আমরা স্বাধীন। স্বৈরাচারের দোসরেরা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে দিতে চেয়েছিল।
আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা লক্ষণ সেনের মত পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আর সেই আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। ছাত্র জনতার এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচারমুক্ত একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। যার প্রেক্ষিতে আমরা স্বাধীন ভাবে কথা বলতে পারছি, স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারতেছি। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি। উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি নেতা হামিদ হোসাইন, নুরুল আকতার, একেএম পেয়ারু, থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আক্তার খান, এসএম মফিজ উল্লাহ, আলী আব্বাস খান, খন্দকার নুরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন মিন্টু, আবু মহসিন চৌধুরী, আমিনুর রহমান মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, সাব্বির আহমদ, জসিম মিয়া, হাজী আবু ফয়েজ, নূর হোসেন নূরু, বিএনপি নেতা দিপক চৌধুরী কালু, দিদারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, জসিম উদ্দিন, সেলিম খান, আব্দুল মান্নান, মো. সেলিম, আবুল কালাম, মো. ইদ্রিস, মো. ফিরোজ, কামাল উদ্দিন, মো. বেলাল, আবুল হাসেম, আবু নাসের সাজ্জাদ, মো. অভি, মো. সালাউদ্দীন, ইমরান সিদ্দিকী জ্যাকসন, মো. ওয়াসিম, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা এন মো. রিমন, আব্দুল্লাহ আল হাসান সোনা মানিক, আবু ছালেহ আবিদ, ইয়াকুব আলী জুয়েল, আরিফ সোহেল, আইনুল ইসলাম জুয়েল, কিং মোতালেব, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, জাহিদুল হক সোহেল, মোহাম্মদ ফয়সাল, শাহাদত হোসেন নাবিল, শাহনেওয়াজ তুষান প্রমূখ।
জেএন/এমআর