কথায় আছে মানুষ বাঁচে আশায়, হাজার রকম স্বপ্নে। প্রতিটি বছরই আসে নতুন স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্নে রাঙায় মানুষ তাঁর নতুন বছরটি। আবার বছর শেষে হিসাব চলে স্বপ্ন আর বাস্তবের প্রাপ্তি নিয়ে। এরকম হাজারো স্বপ্নে শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালটি। দিন গড়ানোর পালায় এবার এসেছে পুরানো বছরটাকে বিদায় জানানোর পালা। আসছে নতুন বছর। নতুন বছরে কী ভাবছেন নগরের বিশিষ্টজনেরা? জয়নিউজের পক্ষ থেকে কথা হল তাদের সঙ্গে।
ড. অনুপম সেন
উপাচার্য, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়
নতুন বছর আমাদের জন্য নতুন আলো নিয়ে আসবে। ঊষার আলো সবসময় সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করে। নতুন বছরের ঊষার আলো আমাদের সম্ভাবনার বিস্তৃত দিগন্ত উন্মোচন করবে। নতুন বছরে সরকার নতুনভাবে গঠন হচ্ছে। শিশু স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে কাজ করে আগামী পাঁচ বছরে এই সরকার জাতিকে বিশ্ব দরবারে সম্মান-গৌরবের আরো বড় পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। নতুন বছরে দেশের সবার প্রতি শুভেচ্ছা, শুভ কামনা।
অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
রবি ঠাকুরের ভাষায় বলতে চাই- ‘তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি’। জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তরুণ প্রজন্ম যে রায় তুলে দিয়েছে এতে তাঁর ওপর প্রত্যাশার চাপ আরো বেড়েছে। দুর্নীতিমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে, তরুণদের কর্মসংস্থান, মাদক ও জঙ্গিবাদমুক্ত সমাজ গঠন করতে, গ্রামগুলোতে শহরের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার যে অঙ্গীকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেছেন সে অঙ্গীকার পূরণ করতে বছরের প্রথম দিন থেকেই কাজ করতে হবে। আমরা যে যার অবস্থান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করতে কাজ করে যাব। যাতে আগামী পাঁচ বছরে আমরা বিশ্বের দরবারে নিজেদের মর্যাদার আসন আরো সুসংহত করতে পারি। নতুন বছরের প্রারম্ভে সবাইকে শুভেচ্ছা।
কলিম সরওয়ার
সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব
২০১৮ সালের শেষ প্রহরে এসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। এই নির্বাচনে জাতি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে নিরঙ্কুশভাবে বিজয়ী করেছে। তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে রায় দিয়েছে। আমি প্রত্যাশা করবো নতুন বছরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারব।
নাজিমুদ্দীন শ্যামল
সভাপতি, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)
নতুন বছরে দেশের সমৃদ্ধি কামনা করি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকুক। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করুক দেশ। সংবাদ কর্মীদের অধিকার সুসংহত হোক। সাংবাদিকদের জন্য ঘোষিত ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এই প্রত্যাশা করি।