সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩২ বছর করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার রাতে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। এবং স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক ননফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর চাকরির যেসব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বা অনুর্ধ্ব ৩২ বছর উল্লেখ আছে ওইসব ক্ষেত্রে ৩২ বছর প্রতিস্থাপিত হবে। তবে প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগগুলো এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্ব স্ব বিধিমালা বা প্রবিধানমালা বহাল থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য তা ৩২ বছর। জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনে (বিজেএস) ও ডাক্তারদের আবেদনের বয়সসীমা ছিল ৩২ বছর। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকতায় ঢোকার বয়স ছিল ৩৫ বছর। এরও আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭ বছর। ১৯৯১ সালে তা বাড়িয়ে ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়। সরকারি চাকরিজীবীরা বর্তমানে ৫৯ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করেন। এর পর অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (পিআরএল) যান। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য এ বয়স ৬৫। উচ্চ আদালতের বিচারকরা ৬৭ বছর পর্যন্ত কর্মরত থাকেন। আগে সরকারি চাকরিতে অবসরের বয়স ছিল ৫৭ বছর পর্যন্ত। ২০১১ সালে বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৭ থেকে ৫৯ করা হয়।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। এ অবস্থায় গত ২৪ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করা হবে। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত গতকাল প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হলো।
জেএন/এমআর