চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ ওয়াসিমের নামে পার্কের নামকরণ

অনলাইন ডেস্ক

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে নগরীর আমবাগানে ‘শহীদ ওয়াসিম পার্ক’’ এর নামকরণের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

- Advertisement -

মঙ্গলবার পার্কটি পরিদর্শনকালে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণা দেন। মেয়র বলেন, গত ১৬ বছর যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করতে গিয়ে এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের অনেকে শহীদ হয়েছে। আমরা এখনো পর্যন্ত তাদের কারো নামে কোন পার্ক দিতে পারেনি।

- Advertisement -google news follower

তাই আমরা চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শাহাদাত বরণকারী হয়েছে শহীদ ওয়াসিম আকরামের নামে এ পার্কের নামকরণের ঘোষণা দিচ্ছি। এই পার্কের নাম হবে আজকে থেকে শহীদ ওয়াসিম পার্ক।

‘‘এটা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চাই। পার্কটি প্রায় সময় বন্ধ থাকে এবং ময়লা-আবর্জনার জন্য লোকজন কম আসে এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি পার্কটি পরিদর্শন করে, স্থানীয়দের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি।

- Advertisement -islamibank

পার্কটি এখন থেকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে। পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। সবাই এখানে আসতে পারবে, হাঁটতে-ঘুরতে পারবে।”

পার্কটি নগরবাসীর সুস্থ বিনোদনের খোরাক যোগাবে জানিয়ে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম পাহাড়-সমুদ্রনন্দিত একটা শহর। পর্যটন সম্ভাবনাময় ট্যুরিজম সিটি।

তবে ঠিকমতো ফোকাস করা যাচ্ছে না বিধায় পর্যটন খাতে আমরা এগুতে পারছিনা। আমাদের ছেলেরা আসলে ঘুরতে পারে না। আমাদের এখানে আসলে ওয়াকওয়ে নাই। এ কারণে পার্ক থাকার পরও কেউ ভালোভাবে ঘুরতে পারছে না। এখানে পাহাড়ি একটা ভাব আছে, বসার জায়গা আছে।

এ পার্কটিকে ভালো পর্যায়ে এনে আমরা চাই সবুজের সমারোহ গড়তে। আমি অন্যান্য পার্কেও যাব। নগরবাসীর সুস্থ বিনোদনের সুযোগ বাড়াব। ’

এরপর মেয়র আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশুপার্ক পরিদর্শন করেন। এসময় পার্কটি বন্ধ দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। পার্কটি দ্রুত খুলে দেয়ার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পার্কের পাশেই আবদ্ধ একটি মাঠকে শিশুদের খেলার স্থানে রুপান্তরের ঘোষণা দেন মেয়র।

এসময় অতি বাণিজ্যিকিকরণের ফলে চট্টগ্রামের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে মেয়র বলেন, গত এক দশকে মানুষের সুস্থ বিনোদনের স্থানগুলোতে অতি বাণিজ্যিকিকরণ হয়েছে। যেমন বিপ্লব উদ্যানে দৃষ্টিনন্দন একটা পার্ক ছিল। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য সেখানে ছিল।

কিন্তু সেটা কমপ্লিটলি ধ্বংস করে দিয়ে একটা মাফিয়া চক্র সেখানে দোকান তো আগেই করেছে কিছু এখন নতুনভাবে ওই পার্কটির মধ্যেই এমনভাবে ডিজাইন করেছে ওখানে আরো ২০-২৫টা দোকান দেওয়ার পায়তারা করেছে। সেদিন আমরা সেটা ভিজিট করে যে স্ট্রাকচার ছিল সেটাকে ভেঙে দিয়েছি এবং সেখানে ডিক্লেয়ার করেছি এটা একটা নয়নাবিরাম সুন্দর গ্রীন পার্ক হবে।

যেহেতু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ উদ্যান থেকে স্বাধীনতার সূচনা করেছিলেন সেহেতু ওই ঐতিহাসিক পটভূমির কথাগুলো সেখানে লেখা থাকবে যাতে নতুন প্রজন্ম বিপ্লব কেন হয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের যে প্রকৃত ইতিহাস তা তারা জানতে পারবে।

তিনি বলেন, আগ্রাবাদ ঢেবাকেও দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করে জনগণের সুস্থ বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা আছে আমার।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM