পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের পাশাপাশি শনিবার ভোট গণনা হচ্ছে ঝাড়খণ্ড ও মহারাষ্ট্রে।
কেরালার ওয়েনাড় কেন্দ্রেও উপনির্বাচন রয়েছে যেখান থেকে লড়ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে গণনা।
গণনার শুরুতে ঝাড়খণ্ডে এনডিএ এগিয়ে থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কঠিন হচ্ছে লড়াই। ব্যবধান কমছে এনডিএ এবং ইন্ডিয়া জোটের।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে ক্রমশ ব্যবধান বাড়াচ্ছে মহাজুটি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৮৮টি আসনের মধ্যে দুইশরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। ‘ইন্ডিয়া’ এগিয়ে প্রায় ৭০টি আসনে।
ওয়েনাড়ের উপনির্বাচনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বিজেপির নব্যা হরিদাসকে ৬০ হাজারের বেশি ভোটে পিছনে ফেলে দিয়েছেন তিনি।
এনডিটিভি বলছে, আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ওই দুই রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু হয়। সব মিলিয়ে গণনা চলছে পশ্চিমবঙ্গসহ ১৫টি রাজ্যের ৪৮টি বিধানসভা এবং দুটি লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোট। ঝাড়খণ্ডে শুরুতে এনডিএ এগিয়ে থাকলেও গণনা যত এগোচ্ছে, লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। ‘ইন্ডিয়া’ এবং এনডিএ-র মধ্যে ব্যবধান কমছে।
অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, লোকসভা নির্বাচনের ছয় মাসের মাথায় মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা ভোটে আবার জিততে পারে বিজেপির জোট।
তবে ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এমন পূর্বাভাস অতীতে অনেক বারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য (জনসংখ্যার হিসাবে) মহারাষ্ট্রে মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে।
কয়েকটি বুথফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস মেনে এ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে ২৮৮ আসনের মধ্যে কোনো জোটই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা ১৪৫ ছুঁতে না পারলে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ‘ছোট’ দলগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৪২টি আসন। ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল জেএনএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’।
মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্ত। এবারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে।
জেএন/পিআর