দেশে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে ডেঙ্গু। জ্বরটিতে প্রায় প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু ও হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে রেকর্ড সংখ্যক ১১ জন মারা গেছেন। হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৭৯ জন। এর আগের দিন ১০ জন মৃত্যুর খবর এসেছিল।
এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারালেন ৪৪৯ জন। আর হাসপাতালে মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা (জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত) ৮৬ হাজার ৭৯১ জন।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এই তথ্যা জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরটি জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১১ জনের মধ্যে ৯ জনই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা। এর মধ্যে পাঁচ জন উত্তর সিটির, চার জন দক্ষিণ সিটির। বাকি দুই জন খুলনা বিভাগের।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৭২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৩ জন রয়েছেন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৫৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মারা গেছেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। সে বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।
জেএন/পিআর