পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আবারও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরু হয়েছে। এতে আরও পাঁচজন নিহত হয়েছে। গত আটদিন ধরে চলা সহিংসতায় এনিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০৭ জনে পৌঁছালো। খবর জিও নিউজের।
সেখানকার বিবদমান গোষ্ঠীগুলো ১০দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে- এমন খবর আসার পর বৃহস্পতিবার আবার সংঘর্ষ হয়েছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, নতুন করে হওয়া সংঘাতে পাঁচজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সংঘাতের কারণে পারাচিনার-পেশাওয়ার রোড টানা আটদিন ধরে বন্ধ আছে।
কুররামের ডেপুটি কমিশনার জাভেদউল্লাহ মেহসুদ বলেছেন, প্রধান হাইওয়ে বন্ধের কারণে খারলাচি সীমান্তে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কারণে সেখানকার লোকজনের দুর্ভোগ বেড়েছে।
বিবিসি বলছে, আফগান সীমান্তের কাছে উপজাতীয় জেলা কুররামে সহিংসতার সূচনা হয়েছিল গত ২১ নভেম্বর। সেইদিন শিয়া মুসলিমদের একটি গাড়িবহরে একজন বন্দুকধারীর হামলার পর সহিংসতা শুরু হয়। এতে অন্তত ৪০ জন নিহত হবার পর শুরু হয় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা।
সেখানকার শিয়া ও সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে কয়েক দশক ধরে ভূমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা হয়ে আসছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও এএফপি জানিয়েছে, গত রোববার মধ্যস্থতার পর সরকারি মুখপাত্র মুহাম্মদ আলী সাইফ বলেন শিয়া ও সুন্নি উভয় সম্প্রদায়ের নেতারা সহিংসতা বন্ধ করতে একমত হন। তবে সহিংসতা বন্ধে সম্মত হওয়ার পরেও অঞ্চলটিতে নতুন করে সংঘাত হলো।
স্থানীয় প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, সংঘর্ষ ও গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় ২১ নভেম্বর থেকে প্রথম তিনদিনেই নিহত হয়েছে ৮২ জন ও আহত ১৫৬ জন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে তিনি বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন সুন্নি সম্প্রদায়ের। অন্যরা শিয়া মুসলিম।
জেএন/পিআর