বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর চুনখোলা এলাকায় খুব কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছিলো বাতাসে।
আশে পাশে শব্দের উৎস খুঁজতে গিয়ে সড়কের পাশে পড়ে থাকা একটি বাজারের ব্যাগ দেখতে পান পথচারী নাজমা বেগম। ব্যাগটির মুখ খুলতেই তিনি সেখানে দেখেন এক নবজাতক, কান্না করছেন।
খবর পেয়ে গতকাল শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সদ্য ভুমিষ্ট ওই ছেলে নবজাতককে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
নবজাতকটি সুস্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাকে খুলনা বিভাগীয় ‘ছোটমনি নিবাসে’ রাখা হবে বলে জানান সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এলাকাবাসী জানান, গতকাল শনিবার রাতে এক পথচারী সড়কের পাশে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন। এর পর স্থানীয় লোকজন সেখানে ছুটে আসে।
নাজমা বেগম নামে স্থানীয় এক নারী রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি বাজারের ব্যাগের ভেতর থেকে ওই নবজাতকটিকে দেখতে পান।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দ্রুত সেখানে ছুটে এসে নবজাতককে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে সড়কের পাশে পড়ে থাকা বাজারের ব্যাগের ভেতর থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই রাতেই নবজাতকটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে। কে বা কারা বাজারের ব্যাগে করে ওই নবজাতককে সড়কের পাশে ফেলে রেখে গেছে।
বাগেরহাট জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক এস এম রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গতকাল শনিবার রাতেই তাদের কর্মকর্তারা এবং পুলিশ চুনখোলা এলাকায় ছুটে গিয়ে নবজাতককে উদ্ধার করেন। ওই রাতেই নবজাতকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো জানান, ওই নবজাতককে খুলনা বিভাগীয় ‘ছোটমনি নিবাসে’ রাখা হবে। শিশুটিকে কেউ লালন-পালন করতে চাইলে জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে বোর্ড সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। ওই বোর্ডের সভাপতি পদাধিকার বলে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক।
বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমদ্দার বলেন, ‘অজ্ঞাত পরিচয়ের একটি নবজাতককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নবজাতকটি বর্তমানে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের এস সি এ এন ওতে ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রায় আড়াই কেজি কেজি ওজনের ছেলে নবজাতকটি সুস্থ রয়েছে। পুলিশ এবং সমাজ সেবা কর্মকর্তারা নবজাতককে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’
জেএন/পিআর