লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে বুধবার (২ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশসহ আহত হয়েছেন ৬ জন। পরে যুবলীগ নেতা মাহাবুবসহ ১২ জনকে আটক করে পুলিশ।
সূত্র জানায়, পূর্বশক্রতার জের ধরে আটিয়াতলীতে লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানের সঙ্গে একই এলাকার দেলোয়ারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ফজলুর রহমান ও দেলোয়ার দুইজনেই আহত হন।
পরে স্থানীয়রা আহত দুইজনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে দুপুরে হাসপাতালে ফজলুর রহমানকে দেখতে আসে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উত্তেজিত হয়ে তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত দেলোয়ার হোসেনের ওপর হামলা চলায়।
খবর পেয়ে পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে সদর থানার এস আই আবদুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিনসহ ৪ পুলিশ সদস্য এবং যুবলীগের দুই কর্মী আহত হন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুর রহমান, রুপম হাওলাদারসহ ৬ জনকে হাসপাতাল থেকে আটক করে। পরে জেলা যুবলীগের কার্যালয় থেকে পৌর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, আজগর হোসেনসহ আরো ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে জেলা যুবলীগ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ কে এম সালাউদ্দিন টিপু হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে জয়নিউজকে বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝিতে নেতাকর্মীদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন জানান, দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে পাল্টা হামলার শিকার হয় পুলিশ। এতে চার পুলিশ আহত হয়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।