মালয়েশিয়া থেকে অভিনব কায়দায় ওয়েন্ডিং মেশিনের কয়েলের ভেতরে পাঁচটি স্বর্ণের চাকতি, দুইটি স্বর্ণের টুকরা ও ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার লুকিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে পাঁচ বিমান যাত্রী।
তবে পাচারের আগেই ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের ধরে ফেলেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—রুবেল হোসেন (২২), দুলাল আহম্মেদ (৩৫), সামিউল ইসলাম (৩৩), সবুজ আলি (২৪) ও সাগর মিয়া (২৭)।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং করে স্বর্ণগুলো জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যুগ্ম কমিশনার আল আমিন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ফৌজদারি মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কাস্টমস হাউস, ঢাকার কমিশনারের কাছে এ বিষয়ে গোপন সংবাদ আসে।
পরে সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস হাউস ঢাকার প্রিভেন্টিভ দল ও সংশ্লিষ্ট শিফটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিমানবন্দরে সতর্ক অবস্থান নেয়।
এরপর মালয়েশিয়া থেকে আগত বিমান থেকে নামা সন্দেহভাজন ওই যাত্রীদের সাথে থাকা কম্বলে মোড়ানো ওয়েন্ডিং মেশিনে স্ক্যান করা হলে স্বর্ণগুলো দেখা যায়।
জব্দ করা সাত কেজি ওজনের স্বর্ণের দাম আনুমানিক সাড়ে ৭ কোটি টাকা। চোরাচালানের মাধ্যমে আনা স্বর্ণগুলো অভিযুক্তরা কোথা থেকে পেলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জেএন/পিআর