দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস যোগ হওয়ায় জেলাজুড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
তাপমাত্রা কমায় গত কয়েকদিন ধরেই বেড়েছে শীতের প্রকোপ। রাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারপাশ। এর সঙ্গে হিমবাতাস যোগ হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। তবে দুপুরের দিকে সূর্য ওঠার পর থেকে কিছুটা কমতে থাকে শীত। ঠান্ডার কারণে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ছয়টায় দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছরে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
গত কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হচ্ছে হিমেল বাতাস। আর তার সঙ্গে যোগ দেয় ঘন কুয়াশা।
সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা আর হিমবাতাসে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও গরিব মানুষ।
অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। জীবিকার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষ এমন অবস্থার মধ্যেও কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।
আজাদ নামে এক রিকশাচালক বলেন, ঠান্ডার কারণে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এজন্য আমাদের আয় অনেক কমে গেছে।
শফিকুল নামে এক ভ্যানচালক বলেন, শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া সকালে কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ছয়টায় দিনাজপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।
জেএন/এমআর