দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। কেজি প্রতি সয়াবিন তেল ৫ টাকা কমে ১৮৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা এবং দেশি কাঁচামরিচ ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আলু আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং ভারতীয় আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ার কারণে কমেছে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফেরদৌস হোসেন বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, সেই সঙ্গে দেশি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করাতে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।
যার ফলে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আলু ও কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, দেশের বাজারে কাঁচামরিচের ব্যাপক উৎপাদন হয়েছে। ফলে মোকামে কমেছে দাম। একদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আলুর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ভারতীয় আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় এবং দেশি আলু ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সয়াবিন তেল বিক্রেতা নুরুজ্জামান বলেন, বর্তমানে বোতল জাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। কোম্পানিতে উৎপাদন কম বলছেন ডিলাররা। যার জন্য বোতল জাত সয়াবিন তেল বাজারে নেই।
আমরা খোলা সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৯০ টাকায়। কেজি প্রতি ৫ টাকা দাম কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, গতকাল শনিবার ভারতীয় ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৭১ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
জেএন/পিআর