চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি চন্দন দাস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের কাছে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে চন্দন দাসকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে তাকে বিচারকের খাসকামরায় নেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আবারও চন্দনকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল করিম। তিনি বলেন, ‘আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় বাবার দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি চন্দন দাস আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে আবারো কারাগারে নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি ঘিরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর আলিফের বাবা বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় চন্দন দাসকে প্রধান আসামি ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
আইনজীবী আলিফ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নগর পুলিশ। সবশেষ ৫ ডিসেম্বর ভোরে ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে আসামি চন্দন দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন রাতে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলিফ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রিপন দাসকেও গ্রেপ্তার করে।
৬ ডিসেম্বর বিকেলে তাদের দুজনকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট) হাজির করা হয়। পুলিশ উভয়ের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে চন্দনের ৭ দিন এবং রিপনের ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
জেএন/এমআর