চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন লিংক রোড এলাকার রাস্তা থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনে অফিস সহকারী ওসমান সিকদারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে তার লাশটি উদ্ধার হয়। নিহত ওসমানের হাটহাজারী উপজেলার মেখল রুহুল্লাহ গ্রামের মো. শাহ আলম শিকদারের ছেলে।
নিহতের বড় ভাই এমরান সিকদার হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক। তার দাবি সেমানকে পূর্ব কোন শত্রুতার জেরেই বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ওসমান বিমানবন্দর সংলগ্ন সরকারি কোয়ার্টারের একটি বাসায় থাকতেন। গত বুধবার রাত তিনটার দিকে সাত থেকে আটজনের একটি দল আমার ভাইকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়।
অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোন খোঁজ না পেয়ে এবিষয়ে ৯৯৯-এ অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোডে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের একটি ছবি আমার কাছে পাঠালে আমি নিশ্চিত করি সেটি আমার ভাই।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের মাথায় লাঠির আঘাত এবং পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে তাকে মারধর করে খুন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধারের আগে হাটহাজারী থেকে হেফাজত ইসলামের এক নেতা ৯৯৯-এ ফোন করে জানিয়েছিলেন বুধবার মধ্যরাতে তার ভাইকে বাসা থেকে কয়েকজন লোক তুলে নিয়ে গেছে।
মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের ছবি তাকে দেখালে সে নিশ্চিত করেন এটাই তার ভাই। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/পিআর