চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেছেন, “এ শহরে প্রতিনিয়তই বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, বন উজাড় এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো নানবিধ হুমকির সম্মুখীন হয়।
যারা পাহাড় কাটছে, খাল দখল করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিজয় মেলা প্রাঙ্গনে আয়োজিত চট্টগ্রামের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান “কথামালা”য় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিম, নগর পরিকিল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ চন্দ্র বড়ুয়া ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব হাসান মারুফ রুমি। আলোচনায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি নগরবাসীর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নজর দিতে হবে।
খেলার মাঠ, পার্ক, জলাধার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনাবিদদের সাথে পরামর্শ করে পর্যটন স্পটগুলোর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশ বর্তমান জেলা প্রশাসন মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আনোয়ারা উপজেলার পারকি সৈকত, সীতাকুন্ড উপজেলার গুলিয়াখালী সৈকতকে বিশ্বমানের পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলার জন্য সী সাইড থেকে সরিয়ে কান্ট্রি সাইডে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি দেয়া নিদিষ্ট মাপ অনুযায়ী দোকান ঘর নির্মানের টার্গেট নেয়া হয়েছে।
পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র এবং ট্যুরিষ্ট পুলিশের জন্য শেড/অফিস নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জেএন/পিআর