নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর সাংবিধানিকতাকে চ্যালেঞ্জ করা দুইটি পৃথক রিট আবেদনের ওপর আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বিত বেঞ্চে শুনানি শেষে গত ৫ ডিসেম্বর রায়ের এ দিন ধার্য করা হয়। তার আগের দিন রিট আবেদনের ওপর আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।
২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান থেকে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে তৎকালীন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।
নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের দায়ের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ অক্টোবর বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বে হাইকোর্ট বেঞ্চ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, ২০১১ কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং এই আইনের আলোকে পূর্বের করণীয় ও কাজ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
এছাড়া, ১৯ আগস্ট বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে আরেকটি হাইকোর্ট বেঞ্চ পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১-এর সাংবিধানিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আরেকটি রুল জারি করেন। এই বিচারপতি এখন ছুটিতে আছেন।
সরকার পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গত ১৮ আগস্ট সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি।
অন্যরা হলেন ড. তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। পরদিন ওই রিটের শুনানি নিয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থ মামলা হিসেবে হাইকোর্টে দাখিল করা ওই আবেদনে বলা হয়, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির পর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে পরপর তিনটি ব্যর্থ নির্বাচন দেখেছে দেশ এবং এর ফলে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের অভ্যুত্থান এবং ৫ আগস্ট সরকারের পতন ঘটে।
জেএন/পিআর