সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না টাইগারদের। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে পা রেখেছিল পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে।
সেখানে দুই টেস্টের সিরিজ ড্রয়ের পর আবার ওয়ানডেতে হোয়াইট ওয়াশের লজ্জায় পুড়তে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু মধুর প্রতিশোধের উপলক্ষ্য হয়ে এলো টি-২০ সিরিজ।
তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুটি জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে লিটন দাসের দল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল। মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলির ছোট্ট ক্যামিওর সঙ্গে শেষ দিকে শামিম পাটোয়ারীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
মিরাজ ২৫ বলে ২৬ ও জাকের ২০ বলে ২১ রান করেন। এছাড়া ১৭ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন শামিম। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে গুড়াকেশ মোতেই নেন ২টি উইকেট।
১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৯ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রান্ডন কিং বলে ৮ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান আন্দ্রে ফ্লেচার। দুজনকেই আউট করেন তাসকিন।
এরপর ক্যারিবিয়ান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন মেহেদী। ১২ বলে ১৪ রান করে জনসন চার্লস ও ৮ বলে ৫ রান করে নিকোলাস পুরান আউট হন।
দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় ক্যারিবিয়ানরা। পাওয়েল ৭ বলে ৬ ও রোমারিও শেফার্ড রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান।
রস্টন চেজ ও আকিল হোসেন লড়াই করার চেষ্টা করেন। তবে তারা আউট হলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভার ৩ বলে ১০২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চেজ ৩৪ বলে ৩২ ও আকিল ৩১ বলে ৩১ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন নেন ৩টি উইকেট।
জেএন/পিআর