মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনকে। সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগরের ৬টি আসনসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের সব আসনে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের প্রার্থীদের জয়ী করতে নিরলস পরিশ্রমের পুরস্কারস্বরূপ তাঁকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। তাই দেরিতে হলেও চসিক মেয়র মূল্যায়িত হচ্ছেন, এমনটাই মনে করছেন নগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও মেয়রের শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
এতদিন মেয়রকে মন্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় নগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আক্ষেপ ও কষ্ট ছিল, নগরবাসীর মনেও ছিল অসন্তুষ্টি । তাই আ জ ম নাছির উদ্দীনকে মূল্যায়ন করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এ নিয়ে সবাই খুশি।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের মান-অভিমান ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ হন আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তি। ফলে নির্বাচনে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৩টি আসনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
বিশেষ করে সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন সবাইকে নিয়ে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ প্রচারণা চালিয়ে প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হন। এর পুরস্কার হিসেবে মেয়র নাছিরকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হতে পারে বলে অভাস মিলেছে।
এ প্রসঙ্গে মেয়র নাছির জয়নিউজকে বলেন, মন্ত্রীর মর্যাদা পাব কি পাব না- সেটি বড় বিষয় নয়। আমার জন্য বড় পুরস্কার নেত্রীর কথা রাখতে পারা। চট্টগ্রামের সবগুলো আসন নেত্রীকে উপহার দেবো বলে যে কথা দিয়েছিলাম, তা রাখতে পেরেছি। এখানেই আমার তৃপ্তি। আমি কি পেলাম বা পেলাম না, তা নিয়ে মোটেও ভাবি না। আমি দায়িত্ব কতটা পালন করতে পারলাম, তা নিয়েই ভাবি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন আ জ ম নাছির উদ্দীন। মেয়র হিসেবে শপথ নেন ৬ মে। দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২৬ জুলাই। একই সময়ে নির্বাচিত ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন এবং ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রয়াত আনিসুল হককে ২০১৬ সালের ২১ জুন মন্ত্রীর পদমর্যাদা দেওয়া হলেও, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে এ পদমর্যাদা দেওয়া হয়নি।