প্রতিবারের মতো দুবাইয়ে এবারও উদযাপন হলো বাংলাদেশের বিজয় দিবস। দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে গত ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিজয় দিবসের এই আয়োজন অনেকটা একপক্ষীয় বলে আখ্যায়িত করছেন দুবাই প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানের অতিথি আসন সংখ্যা সীমিত করে বাংলাদেশ কমিউনিটির শীর্ষ নেতাদের কৌশলে বাদ দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে এই আয়োজন ঘিরে। দুবাই প্রবাসী একাধিক কমিউনিটি নেতা সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলছেন তারা।
প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই আয়োজনের নেপথ্যে কি হয়েছে, কারা কমিউনিটিকে সরিয়ে দিয়েছে; তার তদন্তের দাবি করেন প্রবাসীরা। বিশেষ করে নতুন আসা কনসাল জেনারেল মো. রাশেদুজ্জামান ও দূতালয় প্রধান মো. আশফাকের এতে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকলে বৃহত্তর প্রবাসীদের স্বার্থে তাদের অপসারণেরও দাবি করেন দুবাই কমিউনিটির শীর্ষ নেতারা।
দুবাই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইয়াকুব সৈনিক বলেন, দুবাই কনস্যুলেটে এবার বিজয় দিবসের আয়োজনে চরম বৈষম্যমূলক আচারণ করেছে কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও আরব আমিরাত প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করা সম্মানিত প্রবাসীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। উপস্থিতির তালিকা সীমিত করে বাদ দেওয়া হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে।
কর্মকর্তাদের এমন আচারণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অথচ বিগত কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের এমন আচারণ আমাদের দেখতে হয়নি। দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও এখনো পূর্বের দোসর ও চামচাদের দিয়ে এমন আয়োজন মেনে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে একটি মহলের স্বার্থ উদ্ধার ও আর্থিক পায়দা লুটার জন্য শীর্ষ নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক সংগঠক মোস্তফা মাহমুদ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছে খোলা চিঠি লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের গুণকীর্তন করা কাউকেও সেই অনুষ্ঠানে দেখতে পেয়েছি। আমার চাইতে অনেক জুনিয়রকে দেখা গেলেও, কোন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে, আমার মত অনেকের দাওয়াত হলো না, তা তদন্ত করে দেখার আপনার প্রতি জোর দাবি ও আবেদন পেশ করছি।