দেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জিনাত সানু স্বাগতা। নাটকের গণ্ডি পেরিয়ে অভিনয় করেছেন সিনেমাতেও। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সংগীতশিল্পী ও উপস্থাপকও।
চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে জীবনযাপন করছিলেন এই অভিনয়শিল্পী।
বছরখানেক একা থাকার পর ভাবছিলেন, আবার সংসারী হবেন। একদিন ঢাকার একটি ক্লাবে পরিচয় হয় লন্ডনপ্রবাসী হাসান আজাদের সঙ্গে। এরপর বন্ধুত্ব ও পরিণয়। কয়েকমাস আগে তারা বিয়ে করেন।
তবে বিয়ের আগে এক বছর লিভ টুগেদার করেন তারা। লিভ টুগেদারের অভিজ্ঞতা থেকে একে-অপরকে ভালো লাগায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানিয়েছেন, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের।
স্বাগতা অকপটে বলেন, ‘আমি আর হাসান এক বছর লিভ টুগেদার করেছি। তারপর দু’জন দু’জনকে পার্টনার হিসেবে পছন্দ করেছি। আমাদের লিভ টুগেদারের অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। যার ফলেই আমরা বিয়ে করি।’
অভিনেত্রী জানান, তাদের লিভ টুগেদারের সিদ্ধান্তে পরিবারের কোনো সমস্যা ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন লিভ টুগেদার করেছি, আমাদের দু’জনের বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা ছিল না।
এমনকি আমার ভাই-বোনও বলেছে, কেউ যুক্তরাজ্যে থেকে আসলো, তুমি বিয়ে করে ফেললা, এরপর জীবনটা শেষ হয়ে গেল, তার চেয়ে ভালো একসঙ্গে থেকে দেখো, সারাজীবন থাকতে পারবে নাকি। তারপর সিদ্ধান্ত নেও।’
স্বাগতা আরও বলেন, ‘সমাজও আমাদের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে।’
স্বাগতার স্বামী একজন লন্ডন প্রবাসী। তার জন্ম ও পড়াশোনা সবই যুক্তরাজ্যে। সংগীত জগতের সঙ্গে জড়িত তিনি। হাসান একাধারে গান লেখেন, সুর ও মিউজিক কম্পোজ করেন। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা হাসান পেশায় একজন ব্যবসায়ী।
এর আগে দীর্ঘ ৭ বছর প্রেমের পর চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানকে বিয়ে করেন স্বাগতা। ছয় বছর সংসারের পর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিচ্ছেদ হয় তাদের।
জেএন/পিআর