নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র মোহতাসিম মাসুদ নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিনজনের মধ্যে দুইজনের ডোপ টেস্ট পজিটিভ এসেছে। তারা হলেন, প্রাইভেটকারের চালক মুবিন আল মামুন (২০) ও মিরাজুল করিম।
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তাদের মাদক পরীক্ষা করা হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মশিউর রহমান জানান, ডোপ টেস্টে দুইজনকে পজেটিভ পাওয়া গেছে। তারা অ্যালকোহল নিয়েছিল। এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাইভেটকারের চালক মুবিন আল মামুনের (২০) শরীরে গাঁজা ও অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। আর আরোহীদের মধ্যে মিরাজুল করিমের (২২) শরীরে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে রয়েছেন- প্রাইভেটকারের চালক মুবিন আল মামুন (২০)। তিনি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। অন্য দুজন হলেন- ওই গাড়িতে থাকা মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার রিজওয়ানুল করিমের ছেলে মিরাজুল করিম (২২) ও উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাহাউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে আসিফ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে পূর্বাচল ৩০০ ফিট নীলা মার্কেট (কুড়িল-কাঞ্চন সড়ক) এলাকায় পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তামিম ছাড়াও বুয়েটের মেহেদী হাসান খান (২২) ও অমিত সাহা (২২) নামে আরও দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। বর্তমানে আহত মেহেদী রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে এবং অমিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মুহতাসিমের নিহতের ঘটনায় তার বাবা রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে নিতে ইতোমধ্যে আবেদন করেছে পুলিশ, যার শুনানির জন্য রবিবার ঠিক করা হয়েছে।
এদিকে, মুহতাসিম মাসুদের মৃত্যুকে “হত্যাকাণ্ড”বর্ণনা করে, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে নির্মমভাবে তাদের ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।
জেএন/এমআর