পাকিস্তানের খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশের মাকিন এলাকায় সেনাচৌকিতে ভয়াবহ হামলায় ১৬ সেনা সদস্য নিহত এবং পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আফগান সীমান্তের কাছে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে চালানো এ হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)।
এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পাহাড়ি চৌকিটি তিন দিক থেকে প্রায় ৩০ জন বিদ্রোহীর আক্রমণের মুখে পড়ে।
মধ্যরাত থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে সেনা সদস্যরা প্রাণ হারান। হামলাকারীরা তারহীন যোগাযোগ সরঞ্জাম, সামরিক নথি এবং চৌকির অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে দেয়।
পাকিস্তানি তালেবান তাদের বিবৃতিতে জানায়, আমাদের জ্যেষ্ঠ কমান্ডারদের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
তারা আরও দাবি করেছে, হামলার পর মেশিনগান, নাইট ভিশন ডিভাইসসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম দখলে নেওয়া হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এটিকে চলতি বছরে এই অঞ্চলের সবচেয়ে বিপজ্জনক হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর পাকিস্তানে বিদ্রোহী কার্যক্রম নতুন করে তীব্র হয়েছে। ইসলামাবাদ দাবি করে, আফগান শাসকরা পাকিস্তানে হামলা চালানো বিদ্রোহীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাতিসংঘের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, আফগানিস্তানে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টিটিপি যোদ্ধা অবস্থান করছে।
এ ছাড়া তালেবান টিটিপির প্রতি সমর্থন এবং প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ ওঠে, যার মধ্যে অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণের অনুমতিও রয়েছে।
এ ধরনের হামলা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে।
সীমান্ত নিরাপত্তাহীনতা পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অভিবাসনবিরোধী নীতিকে প্রভাবিত করেছে, যেখানে লাখো নথিবিহীন আফগান অভিবাসীকে বিতাড়ন করা হয়।
জেএন/পিআর