সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক। এসব হিসাব ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, আনিসুল হকের ১৬টি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ছয়টি হিসাবে ৫ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। এছাড়া একই ব্যাংকে অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস হিসেবে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা রয়েছে।
দুদক সূত্র আরও জানিয়েছে, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নয়টি হিসাবে ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। এসব টাকা নিজের ও নিকটাত্মীয়দের নামে ডিপোজিট হিসেবে রয়েছে।
এর মধ্যে সিটিজেন ব্যাংকের গুলশান শাখার পাঁচটি হিসাবে আশেকুছ সামাদ ও জেবুন্নেছা বেগম হকের নামে নয় কোটি কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার ১১২ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গেছে। এ দুজন আনিসুল হকের ভাই-বোন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় আনিসুল হকের তিনটি ব্যাংক হিসাবে যথাক্রমে চার কোটি ১৩ লাখ ১৩ হাজার, ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ও ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকার জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
সব মিলিয়ে তিনটি ব্যাংকে আনিসুল হক ও তার পরিবারের নামের প্রায় ২১ কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানিয়েছেন দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এসব হিসাব ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, “ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হয়েছে।”
দুদকের অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দিলে আইন অনুযায়ী কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক সহযোগীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও অনুসন্ধান করছে দুদক।
জেএন/পিআর