চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের ২নং গেইট এলাকা ও শাহ আমানত হলের সামনের খাবারের রেস্তোরাঁয় যৌথভাবে তদারকিমূলক অভিযান চালানো হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও ক্যাব যুব গ্রুপ চবি শাখার উদ্দ্যেগে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে অভিযান।
এসময় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘর, অপরিষ্কার এবং খাবারের মূল্য তালিকা না টাঙানোসহ বিভিন্ন ভোক্তা অধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয়।
এসব অভিযোগে ৩টি দোকান থেকে মোট ৩১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এরমধ্যে দ্বীপ স্টোর থেকে ৮ হাজার, রহমানিয়া হোটেল থেকে ১৫ হাজার এবং ঢাকা হোটেল থেকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, “ক্যাব’র অনুরোধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিযান পরিচালনা করেছি। আগের অভিযানের তুলনায় কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি দেখা গেলেও তিনটি দোকানে মারাত্মক অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করেছি।
এসব দোকানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছিল। একই ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সাথে রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করা হচ্ছিল, যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়াও, তারা অনুমোদনবিহীন রং ব্যবহার করছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনটি দোকানকে মোট ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ক্যাব যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’র সভাপতি রাব্বি তৌহিদ বলেন, “ভোক্তা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানগুলোতে পরিচালনা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসের যে দোকানগুলোতে শিক্ষার্থীরা খাবার খায়।
অভিযান পরিচালনা করার সময় সেসব দোকানগুলিতে বাসি খাবার, অপরিষ্কার, অপরিচ্ছন্নতা এবং বিভিন্ন সমস্যা পাওয়া গেছে। এজন্য তাদের জরিমানা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে সেই দোকানগুলো ভুল শুধরে ভোক্তা বান্ধব হবে।”
এ অভিযানে হাটহাজারী থানা পুলিশের পাশাপাশি কনজ্যুমার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যুব গ্রুপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মো. খাইরুল ইসলাম ও অন্যান্য সদস্য/সদস্যাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর