নগরের জহুর হকার্স মার্কেটের সামনে শীতবস্ত্রের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। কেউ কেউ ‘এক দাম ৫০, এক দাম ১০০’ বলে হাঁক দিচ্ছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘চাই চাই ল, বাছি বাছি ল’। শুধু এখানেই নয়, নগরের বেশ কয়েকটি মার্কেটের সামনের ফুটপাতেই দেখে মিলেছে এমন চিত্রের।
কথায় আছে ‘মাঘের শীতে বাঘও কাঁপে’। প্রকৃতিতে এখন পৌষের শেষ। আর কিছুদিন পরেই আসবে মাঘ মাস। ফলে দিন দিন বাড়ছে শীতের তীব্রতা। আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, জানুয়ারিতে দেশজুড়ে বয়ে যেতে পারে কয়েকটি শৈত্যপ্রবাহ।
এদিকে শীত মৌসুমকে ঘিরে জমে উঠেছে নগরের শীতবস্ত্রের বাজার। জহুর হকার্স মার্কেট, নিউমার্কেট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, মিমি সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে সব মার্কেট, শপিং মলে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। গরম কাপড় কিনে শীতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন চট্টগ্রামের মানুষ।
শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে গেলে ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমল, সর্বত্রই দেখা মিলেছে হরেকরকম শীতবস্ত্রের সমাহার। ক্রেতাদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।
তবে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে জহুর হকার্স মার্কেটে। রাস্তার ভাসমান দোকানগুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দামে সস্তা ও মোটামুটি চলনসই হওয়ায় ফুটপাতের এ দোকানগুলোতেও বেশ ভালোভাবেই জমে উঠেছে বিকিকিনি।
সৈকত নামের ফুটপাতের এক বিক্রেতা জয়নিউজকে বলেন, দুপুর থেকে বিক্রি করতে বসেছি। অনেকগুলো জ্যাকেট বিক্রি করেছি। ভালোই বিক্রি হচ্ছে। শীত আরো বেশি পড়লে আমাদের লাভ। বেচা-বিক্রি ভালো হয়। তিনি প্রতিটি জ্যাকেট ৫০ টাকা করে বিক্রি করছিলেন।
শিশু থেকে শুরু করে একেবারে বৃদ্ধ, সব বয়সীদের জন্যই এখানকার ফুটপাতে ছিল শীতের পোশাক। দাম মানভেদে ২০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ব্লেজারও আছে এসব দোকানে। ব্লেজার বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
নিজের শিশু কন্যার জন্য ফুটপাত থেকে দুটি জিন্স প্যান্ট ও একটি সোয়েটার কিনেছেন আন্দরকিল্লা এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ সুলতানা জাহান। প্যান্ট দুটি ১২০ টাকা ও সোয়েটার ১০০ টাকায় কিনেছেন বলে জানালেন।
তিনি জয়নিউজকে বলেন, এখানে কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে প্রতিবছরই বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করি।