১৩ দিনে আটটি বিমান দুর্ঘটনায় ২৩৪ জনের প্রাণহানি

ভিনদেশ ডেস্ক :

সারা বিশ্বে নি দিন বেড়েই চলেছে বিমান দুর্ঘটনা। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাড়ছে প্রাণহানি। চলতি মাসে মাত্র ১৩ দিনেই বিশ্বের নানা প্রান্তে অন্তত ৮টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।

- Advertisement -

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩টি। আর এসব দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩৪ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।

- Advertisement -google news follower

সবশেষ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) কানাডা ও নরওয়ের দুর্ঘটনায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার খবর নজর কেড়েছে বিশ্ববাসীর। এই দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন যাত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা।

বিমানটিতে ক্রুসহ মোট ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

- Advertisement -islamibank

এ ছাড়া নরওয়ে থেকে নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে যাত্রা করে রয়্যাল ডাচ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান।

তবে উড্ডয়নের পরপরই কোনো কারণে এটি আবারও ওই বিমানবন্দরে ফিরে আসে এবং জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিমানটি। বিমানটিতে ১৮২ জন যাত্রী ছিলেন। তবে তারা সবাই অক্ষত আছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া ও নরওয়ের পর কানাডায় একটি যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এয়ার কানাডার বিমানটি দেশটির হ্যালিফ্যাস্ক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় প্রচণ্ড গতিতে পিছলে গিয়ে এতে আগুন ধরে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এর আগে, গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুর্ঘটনার মুখে পড়ে আজ়ারবাইজান এয়ারলাইন্সের ইআরজে-১৯০ বিমান। সেটির গন্তব্য ছিল রাশিয়া।

স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজনির উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি।

পথিমধ্যে কাজাখস্তানের আকতাউতে কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব-উপকূলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানের ৬৭ যাত্রীর মধ্যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়।

খবরে বলা হয়, ঘন কুয়াশার কারণে সেটির পথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজ়াখস্তানের বিমানবন্দরে তার জরুরি অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের আগে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।

রুশ সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়, একঝাঁক পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তবে এখনও দুর্ঘটনার কারণ নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ ব্রাজ়িলের পর্যটন শহর গ্রামাদোতে ১০ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে একটি বিমান। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় বিমানের সব যাত্রীর। যাত্রিবাহী বিমানটি প্রথমে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাড়ির চিমনিতে ধাক্কা মারে। এরপর আরও একটি বাড়ির দোতলায় গিয়ে দ্বিতীয় বার ধাক্কা খায় সেটি।

শেষমেশ বিমানটি একটি দোকানের উপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে আগুন ধরে যায় সেটিতে। একই দিনে পাপুয়া নিউ গিনিতে একটি বিমান ভেঙে পড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। কী কারণে সেটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার সান ফার্নানদো বিমানবন্দরের কাছে গাছে ও প্রাচীরের দেয়ালে ধাক্কা খায় একটি বিমান। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বিমানটিতে। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিমানের দুই পাইলটের।

১৭ ডিসেম্বর হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের হনুলুলু বিমানবন্দরের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেঙে পড়ে একটি পণ্যবাহী বিমান।

তবে ঠিক কি কারণে বিমান বিধ্বস্ত হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে, পাইলটদের প্রশিক্ষণ চলার সময়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM