বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, আমরা পূর্ববর্তী কর্মসূচি অনুযায়ী শহীদ মিনারে একত্রিত হবো। ঘোষণাপত্র আসবে সরকারের পক্ষ থেকে। তাই বলে আমাদের একত্রিত হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্রে প্যারেক মেরে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান রক্ত দিয়ে অর্জিত। এই অভ্যুত্থান আমার ভাইদের চোখের বিনিময়ে অর্জিত। এই অভ্যুত্থান আমার হাজারো ভাইয়ের শহীদের রক্তে অর্জিত। আমরা এই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দিতে চেয়েছি। রাষ্ট্রকে বলেছি, আমাদের যেন সাপোর্ট করা হয়। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে গিয়েছি। আমরা বলেছি, তারা যেন আমাদের সমর্থন জানায়। যেন ঘোষণাপত্রকে গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক দলিলকে গ্রহণ করতে হবে। এই ঐতিহাসিক দলিল যাতে আমরা ঘোষণা না করতে পারি তার জন্য বিভিন্ন ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমরা প্রাথমিকভাবে বিজয় লাভ করেছি। সরকার আমাদের ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে হ্যাঁ-সূচক কথা বলেছে, আমাদের ঘোষণাপত্রের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, অবশ্যই শহীদ মিনারে একত্রিত হবো।
তিনি আরও বলেন, সারা দেশের মানুষ রাজপথে নেমে এসে এই ঘোষণাপত্রের শক্তি প্রদর্শন করব। ৫ আগস্ট এ দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসে গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল, হাসিনার বিরুদ্ধে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল। গণঅভ্যুত্থানের অংশীদারিত্বের জায়গা থেকে যারা ৫ আগস্ট রাস্তায় নেমেছিলেন, আগামীকালকে (মঙ্গলবার) শহীদ ভাইদের রক্তে অর্জিত ঘোষণাপত্রের পক্ষে রাস্তায় নেমে আসবেন। ৫ আগস্টের মতো আগামীকাল কয়েকটা গণজোয়ার দেখতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণাপত্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, আজ ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। এখানে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা কীভাবে দেওয়া হবে তা জানানো হবে কর্মসূচি থেকে।
জেএন/এমআর