একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরাট বিপর্যয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করেছে। বিএনপির রাজনীতি কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে কোনো কর্মসূচি পালিত হচ্ছে না।
বিএনপির নেতারা বলছেন, এই নির্বাচনটি একটি তামাশার নির্বাচন। এর মাধ্যমে অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একতরফা নির্বাচন করেছে নির্বাচন কমিশন। জোর করে বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়নের পক্ষে ভোট দিয়েছে জনগণ। দুর্নীতি ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের বিপক্ষে রায় দিয়েছে তারা।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে ঐক্যফ্রন্টের কোনো প্রার্থী জয়লাভ করতে পারেননি। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা যে হাঁকডাক করেছিলেন, তার কিছুই নির্বাচনের মাঠে দেখা যায়নি। বরং নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের জন্য মাঠ ফাঁকা রেখে গায়েব হয়ে যায় বিএনপি। ১৬টি আসনে কোনো প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি বিএনপি।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল জয়নিউজকে বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রশাসনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ভোটকেন্দ্র দখল করার সুযোগ করে দিয়েছে। বিএনপির প্রার্থীদের জোর করে হারানো হয়েছে । পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। আগের রাতে এজেন্টকে পুলিশ দিয়ে হুমকি দিয়েছে। এরপরও বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচন বর্জন করেননি।
তিনি বলেন, বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা এখন আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। তাই হতাশ হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
নগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী জয়নিউজকে বলেন, নগরের ৬টি থানা ও ১৫টি ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সম্পাদক কারাগারে । এছাড়া নগর কমিটির প্রায় প্রতিটি সদস্য মামলার আসামি। মুক্ত পরিবেশে রাজনীতি করার সুযোগ কার্যত বন্ধ।
তিনি আরো বলেন, আসলে একটি কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের। এ রকম পরিস্থিতি আর কখনো বিএনপিকে মোকাবিলা করতে হয়েছে কি না আমার জানা নেই।
এদিকে নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক জয়নিউজকে বলেন, এই জয়ে আমাদের নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিজয় সম্ভব হয়েছে।