ট্রাম্প-সমর্থিত মাইক জনসন স্পিকার পদে পুনর্নির্বাচিত

অনলাইন ডেস্ক

নানা নাটকীয়তার পর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন মাইক জনসন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোটাভুটিতে ২১৮ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। তার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ডেমোক্রেট প্রার্থী পেয়েছেন ২১৫টি ভোট।

- Advertisement -

শনিবার (৪ ‍জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

- Advertisement -google news follower

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার পদে মাইক জনসন নবনর্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন পেয়েছেন।

স্পিকার পুননির্বাচিত হতে জনসনের ২১৮ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন প্রয়োজন ছিল। তবে প্রথম দফার ভোটাভুটিতে তিনি ২১৬ জনের সমর্থন পান। ২১৫ জন আইনপ্রণেতা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হাকিম জেফরিসকে ভোট দেন। আর অন্যান্য প্রার্থীরা পান তিন ভোট। রিপাবলিকান দলের তিনজন আইনপ্রণেতা জনসনকে ভোট দেননি।

- Advertisement -islamibank

কোনো প্রার্থী প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট না পাওয়ায় ভোটাভুটি দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। শেষ হাসি হাসেন জনসন। তিনি রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের দৌলতে প্রয়োজনীয় ২১৮টি ভোট পান। হাকিম পান ২১৫টি ভোট। অন্যান্য প্রার্থীদের ঝুঁলিতে একটি ভোট জমা পড়ে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর জনসন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের পাশাপাশি পরবর্তী কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে শপথ নেন।

প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে জনসনকে হাউস স্পিকারের ভূমিকার জন্য সমর্থন করে বলেছিলেন, “আজকে মাইকের জয় রিপাবলিকান পার্টির জন্য একটি বড় জয় হবে।”

হাউস স্পিকার ওয়াশিংটনের সবচেয়ে শক্তিশালী পদগুলোর মধ্যে একটি, যা মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষকে নিয়ন্ত্রণ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের পরে তৃতীয় শক্তিশালী পদ।

বিজয়ী ভাষণে জনসন বলেন, “গত চার বছর জো বাইডেনের দূর্বল নেতৃত্ব আমেরিকাকে বিপজ্জনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। পরবর্তী কংগ্রেস ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি বাস্তবায়নে চ্যাম্পিয়ন হবে।” আমেরিকা ফার্স্ট হলো দেশকে এগিয়ে নিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারমূলক নীতি।

স্পিকার পদে পুননির্বাচিত হওয়ায় জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “জনসন একজন সেরা স্পিকার হবেন এবং তার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হবে।”

গত মাসের শুরুর দিকে বাজেট বিল পাসের বিষয়ে জনসনের ভূমিকায় নিয়ে রিপাবলিকান ককাসের বিভক্তি প্রকাশ পায়। তার নেতৃত্বের ওপরও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এরপর ডিসেম্বরের শেষ দিকে স্পিকার পদে জনসনের প্রতি সমর্থন জাোন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে নতুন বছরে রিপাবলিকানদের বিরোধ কমানোর আপাত প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM