ইয়াবার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে গাঁজার চাহিদা। প্রতিদিন ঢাকায় আসছে কয়েকশ কেজি গাঁজা। এ গাঁজার চালান আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, কুমিল্লা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত এলাকা থেকে।
সীমান্ত এলাকা থেকে যে পরিমাণ গাঁজা আসে তার সিংহভাগই ঢাকায় কেনাবেচা হয়। ট্রেনে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মাদক কারবারিরা বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকায় নিয়ে আসে গাঁজা।
এমন তথ্য জানিয়েছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের এক কর্মকর্তা।
অপরদিকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অদিধদপ্তরের ঢাকা মেট্রোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইয়াবার দাম বেড়ে যাওয়ায় গাঁজার চাহিদা বেড়েছে।
প্রায় একই তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার মাদক কারবারি সাজিদুল হক।
শুক্রবার ডিবি পুলিশ গাবতলী সংলগ্ন পর্বত সিনেমা হলের সামনে থেকে ২০ কেজি গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। যার মূল্য প্রায় ৪ লাখ টাকা।
অভিযান পরিচালনাকারী মহানগর ডিবি পুলিশের এডিসি রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের জানিয়েছেন, সাজিদুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাজিদপুর।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজিদুল জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতেন। অভিযানের সময় সাজিদুলের সঙ্গে থাকা দুই জন পালিয়েছেন।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ঢাকা মেট্রোর(উত্তর) শামীম আহম্মেদ গাঁজার সরবরাহ কিছুটা বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
সম্প্রতি গ্রেপ্তারকৃত মাদক কারবারি ও মাদক সেবীদের দেওয়া তথ্যে নিশ্চিত হয়েছেন ইয়াবার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে গাঁজার চাহিদা বেড়েছে।
মাদক অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ কারণে ইয়াবার চালান কমে গেছে। আগে যেখানে টেকনাফে এক পিস ইয়াবা বিক্রি হত ৩০ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
অপর দিকে ঢাকায় আগে যে ইয়াবা পিস বিক্রি হত ৩০০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে চার থেকে পাঁচশত টাকা। তাই মাদককারবারিরা দিন দিন ঝুঁকছে গাঁজার দিকে।
জেএন/পিআর