ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দশ দিন পর সচল হতে শুরু করেছে সচিবালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবনের অক্ষত দপ্তরগুলো। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত নয় তলা এই ভবনের পুড়ে যাওয়া চারটি তলা ছাড়া বাকি পাঁচ তলায় স্বাভাবিক অফিস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে। আগুন লাগার পর থেকে উপদেষ্টা এবং সচিব ছাড়া এতদিন অন্য কারও গাড়ি সচিবালয় প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
তবে পাঁচতলার পর (ওপরের ফ্লোরগুলোতে) গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
পাঁচতলায় পূর্ব পাশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিম পাশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। ভবনের চারতলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, তিনতলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, দুইতলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন।
সাত নম্বর ভবনের দুইতলায় উঠতেই নাকে এসে লাগল আগুনে পোড়া গন্ধ। মেঝেতে ছাইয়ের চিহ্ন। ভবনে লিফট, পানি সরবরাহ বন্ধ। তবে, বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে।
৬ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত ফ্লোরগুলোর কলাপসিবল গেট তালা দেওয়া রয়েছে। এই চারটি ফ্লোর আগুনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। সিঁড়ি ও দেওয়ালের পলেস্তারা উঠে গেছে, আবার কোথাও খসে পড়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি তলা।
এ চার তলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অফিস ছিল।
রাত ২টার কিছু আগে আগুন লাগা আগুন ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
আগুন পুরোপুরি নিভতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা। বৈদ্যুতিক ‘লুজ কানেকশন’থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
জেএন/পিআর