বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলার জামিন শুনানি পেছালো

অনলাইন ডেস্ক

পিলখানা হত্যাকাণ্ড বা বিডিআর বিদ্রোহের বিস্ফোরক মামলার জামিন শুনানির পরবর্তী তারিখ ১৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

- Advertisement -

বিচারকাজ পরিচালনার পরিবেশ না থাকায় এ মামলার বিচার কার্যক্রম বৃহস্পতিবারের (৯ জানুয়ারি) মতো মুলতবি ঘোষণা করেছে আদালত।

- Advertisement -google news follower

বিডিআর বিদ্রোহ মামলার বিচার কার্যক্রম রাজধানীর বকশীবাজারের অস্থায়ী আদালত থেকে সরিয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগারের অস্থায়ী আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় বকশীবাজার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন মাঠে নির্মিত ভবনের অস্থায়ী আদালত মামলা পরিচালনা করার কথা ছিলো।

কিন্তু রাতে পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এজলাস কক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো কক্ষটি পুড়ে যায়। তবে কীভাবে ওই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিলো তা জানা যায়নি।

- Advertisement -islamibank

এদিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চিফ প্রসিকিউটর প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন ও আসামি পক্ষের আইনজীবী পারভেজ হোসেন জানান, এজলাস কক্ষ পরিদর্শন শেষে বিচারক আজকের মত আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করেছেন।

এর আগে আদালতে বিচারকাজ বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে তারা সড়ক অবরোধ করেন।

তারা জানান, বিচার কাজ চলমান থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্ন হয়। এর আগে বেশ কয়েকবার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেয়ার পরও কর্ণপাত করেনি তারা। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।

বুধবার দিনগত রাতে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার জানান, রাত ৩টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এসময় আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে তারা আগুন নেভাতে পারেননি।

অন্যদিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত সদস্য ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগে অবস্থান নেন তারা।

সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত বিডিআরের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যা মামলার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রহসন চলছে। সব মিথ্যা মামলা বাতিল ও কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তির দাবি জানান তারা। কেরানীগঞ্জে আদালত বসার কথা থাকলেও, তা না হওয়ায় একে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা।

বিডিআর সদস্যরা দেশবিরোধী চক্রান্তের শিকার হয়েছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, কারাবন্দিদের মুক্তিসহ তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM