সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার দায় এখন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তাদের কাঁধে এসে পড়বে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর বনানীর বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে পরিদর্শন ও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, গত এক বছরে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় সাত হাজার নিহত এবং ১২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অনেক জায়গায় দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ফিটনেসবিহীন যানবাহন। এসব যানবাহন সড়কে কীভাবে চলে তার জবাব বিআরটিএকে দিতে হবে। ভবিষ্যতে ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় বিআরটিএ’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। রাস্তার সমস্যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মার্চের মধ্যে অপেক্ষমাণ থাকা ৪ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করা হবে। ৩ মাসের মধ্যে সকল জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন এলাকার সব সরকারি হাসপাতালে যানবাহন চালকদের ডোপ টেস্ট চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসময় বিআরটিএতে বেসরকারিভাবে যারা চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান করার আবেদন করবে, যাচাই-বাছাই করে দ্রুত তাদের অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা বলেন, ফিটনেস বিহীন গাড়ি অপসারণে ডাম্পিং স্টেশন বাড়ানো হবে। সেই সাথে স্ক্র্যাপ নীতিমালা করার পাশাপাশি লাইসেন্সবিহীন চালকদের নিয়ন্ত্রণ করবে বিআরটিএ এবং পুলিশ। এজন্য টহল বাড়ানো হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে।
জেএন/এমআর