বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এনে সময়মতো খালাস না নেওয়া এবং ব্যবহার উপযোগিতা আমদানিকৃত ৪৫ লট পণ্য অনলাইনে নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা।
চলতি বছরের প্রথম এই নিলামে ৪৭ লট পণ্য রাখা হলেও দুই লট পণ্যের নিলাম স্থগিত করায় আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) অনলাইন নিলামে ৪৫ লট পণ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
তিন চাকার অটোরিকশার টিউবসহ টায়ার, ফায়ার রেসিসটেন্ট ডাবল ডোর শিট, মার্বেল ব্লক, স্টিকার প্রিন্টেড, ডেনিম ফেব্রিক্স, সোডিয়াম সালফেট, কম্বলের কাপড় ছাড়াও নিলামে তোলা ৪৫ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিট ফেব্রিক্স প্রিন্টেড, প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল, উড ফ্রি পেপার, নন ওভেন ফেব্রিক্স, ডুপ্লেক্স পেপার বোর্ড, নাট বোল্ট, ডার্ক গ্রিন রিফ্লেক্টিভ গ্লাস, রাবার শিট, এনিম্যাল ফিড, তরল পরিমাপক যন্ত্র, মোজা তৈরির মেশিন, এডহেসিভ পেপার, ব্যবহৃত এস্কেভেটর, পলেস্টার ও রেয়ন ফেব্রিক্স ইত্যাদি। যার মধ্যে একাধিক পণ্যের সংরক্ষিত মূল্য কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, গেল ২৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে আজ রবিবার ১২ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইন নিলামের দর গ্রহণ করা হবে।
এর মধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত নিলামের পণ্য দেখার সুযোগ পেয়েছিলো বিডাররা। দেখা গেছে, পণ্যগুলো একাধিকার নিলামে তোলা হলেও বিক্রি হয়নি। ফলে পুনরায় অনলাইন নিলামে তোলা হচ্ছে।
অনলাইন নিলামে দেশের যে কোন স্থান থেকে অংশগ্রহণ করা যায়। তাই অনলাইন নিলামে বেশি পরিমাণে অংশগ্রহণকারী পাওয়া সম্ভব এবং প্রতিযোগিতামূলক দর পাওয়া সম্ভব।
কাস্টমস জানায়, দরদাতারা কোটেশন মূল্যের নির্ধারিত অর্থ জামানত, যে কোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ‘কমিশনার, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম’ অনুকূলে পে অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট বা ডিডির কপি অনলাইনে জমা দিলেই হবে। সশরীরে আসতে হবে না।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের অনলাইন নিলাম পরিচালনা করবে সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কে এম কর্পোরেশন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, বিদেশ থেকে আমদানির পর খালাস না নেওয়া, জব্দ করা ও বাজেয়াপ্ত হওয়া পণ্য বিক্রির জন্য এই নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। অনলাইন নিলামে উঠেছে ৪৫ লট পণ্য।
যে কেউ ঘরে বসে ই-অকশন সফটওয়্যারে নিবন্ধন করে এই নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। কোনো ব্যক্তি পণ্য কিনতে চাইলে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও হালনাগাদ আয়কর সনদ থাকতে হবে।
প্রতিষ্ঠান হলে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, মূসক নিবন্ধন সনদ ও হালনাগাদ আয়কর সনদ থাকতে হবে। মূলত অংশগ্রহণ বাড়াতে অনলাইন নিলামে তোলা হয়েছে এসব পণ্য।
তবে যেসব পণ্য নষ্ট হওয়ায় ব্যবহার উপযোগিতা হারিয়েছে কিংবা বিপজ্জনক সেগুলো ধ্বংস করা হয় বলেও জানান কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
জেএন/পিআর