বিপিএলে হ্যাটট্রিক হারের পর টানা দুই জয় পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাদের সামনে সুযোগ ছিল হ্যাটট্রিক জয় তুলে নেওয়ার। কিন্তু চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। তাদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে চিটাগাং। প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা তিন ম্যাচ জিতে নিজেদের মাঠ চট্টগ্রামে যাচ্ছে তারা। সোমবার আগে ব্যাটিং করে চিটাগাং ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২০৩ রান। জবাবে ১৭৩ রানে থেমেছে সিলেটের ইনিংস। চিটাগাং জিতেছে ৩০ রানে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সিলেটকে ২০৪ রানের লক্ষ্য দেয় চিটাগাং। জবাবে প্রথম ওভারেই সিলেট তাদের ওপেনার পল স্টারলিংকে হারায়। এরপর অপর ওপেনার রনি তালুকদারও দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। ২৬ রানে দুই উইকেট হারানোর পর জর্জ মানসে (৫২), জাকির হাসান (২৫) ও জাকের আলী অনিক (৪৭*) চেষ্টা করলেও জিততে পারেনি সিলেট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানে থামে তাদের ইনিংস।
চিটাগাংয়ের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিম ২৫ রানে নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। আলিস আল ইসলাম নিয়েছেন দুটি। একটি করে উইকেট নেন নাবিল সামাদ, শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চিটাগাং পারভেজ হোসেন ইমনকে হারিয়ে বসে। কিছু না করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সুযোগ পাওয়া ইমন এই ম্যাচে সিঙ্গেল ডিজিটে আউট হয়েছেন। তবে তিনি ব্যর্থ হলেও পাকিস্তানের উসমান খান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পাওয়ার সংবাদ শুনেই ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। সেই খুশিতে ফিফটিও তুলে নিয়েছেন তিনি। ৩৫ বলে ৫৩ করে থামেন উসমান। এর পর আলো কাড়েন গ্রাহাম ক্লার্ক। ৫ ছক্কায় তার ৩৩ বলে ৬০ রানের ইনিংসে বড় পুঁজির ভিত পায় চিটাগাং। অধিনায়ক মিঠুন ১৯ বলে ২৮ এবং হায়দার আলীর ৩ ছক্কায় ১৮ বলে অপরাজিত ৪২ রানের সুবাদে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে তারা।
সিলেটের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে নিয়েছেন ২ উইকেট।এছাড়া একটি করে উইকেট পান নাহিদুল ইসলাম, আরিফুল হক ও রুয়েল মিয়া।
জেএন/এমআর