চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে সংঘর্ষ, ভাঙচুরের অভিযোগে মামলায় আসামি ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরকার হাসান শাহরিয়ার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া বলেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে গত বছরের ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে হওয়া সংঘর্ষের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলার আসামি ৬৩ জন আইনজীবী সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন। এক হাজার টাকার বণ্ডে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন মামলার চার্জশিট দায়ের পর্যন্ত।
মামলার আসামি সাবেক চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর পিপি দুলাল দেবনাথ বলেন, আমরা ৬৩ জন আইনজীবী কথিত হত্যাচেষ্টার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাই। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। আমাদের ষড়যন্ত্র করে আসামি করা হয়েছে। অনেকে ওইদিন আদালতেও ছিলেন না। তারপরও আসামি করা হয়েছে।
গত ২৫ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে।
পরদিন কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।
দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় মসজিদ-দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম।
এ ঘটনায় ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে নগরের কোতোয়ালি থানায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। একই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় আরও কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।
জেএন/পিআর