বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত মহা-ব্যবস্থাপক আমীর হোসেন বলেছেন, খালের মোহনা দখল করে মৎস্য বাজার প্রতিষ্ঠার যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে, তা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য হলো, বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের আওতায় চাক্তাই-রাজাখালী খালের মোহনার দুই পাড়ে সিসি ব্লক দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেরাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে। যে কারণে খালের মোহনা আরও প্রশস্ত হয়েছে। সুতরাং খাল দখলের প্রশ্নই আসে না।
রোববার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও বাজারটি ঘিরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অর্ধলাখ মানুষের জীবন-জীবিকা জড়িত। পাথরঘাটা ইকবাল রোড ফিশারিঘাটে স্থান সংকুলান না হওয়া, গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আনতে খরচ বেড়ে যাওয়া, নোংরা পরিবেশ নিয়ে বিদেশি ক্রেতাদের আপত্তি, যানজট-জনদুর্ভোগ ও বিভিন্ন ঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১৫ বছরের চুক্তিতে নতুন অবতরণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। ১ কোটি টাকা খাজনা ও জামানত এবং ৩২ লাখ টাকা বার্ষিক ভাড়ায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ৪ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ও বাজার। এখন এটি নিয়ে স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরো বলেন, একটি মহল মিথ্যা তথ্য ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাংবাদিক ও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সমিতির কেউ সরকারি জায়গা দখল করে বা জায়গার মালিক সেজে বাজার প্রতিষ্ঠা করেনি। বন্দরের ভাড়াটিয়া হিসেবে ৩ দশমিক ৯ হাজার ৭৭৫ একর জায়গায় সমিতি বাজারটি প্রতিষ্ঠা করে। অতএব জায়গা দখল করে মৎস্য বাজার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নই আসে না।
আমীর হোসেন বলেন, ১৯৬০ সালে ইস্ট পাকিস্তান প্রভিনশিয়াল ফিশারম্যানস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশ স্বাধীনের পর এর বাংলাদেশ জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামকরণ করা হয়। সমিতির প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামে অবস্থিত। দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯১টি কেন্দ্রীয় ও ৫৭০টি নিবন্ধিত প্রাথমিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে ২ কোটি মৎস্যজীবীর ভাগ্যোন্নয়ন করেছে সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সোনালি যান্ত্রিক মৎস্যশিল্প সমবায় সমিতির সহসভাপতি নূর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাবুল সওদাগর, জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির কোষাধ্যক্ষ নিজামুল ইসলাম, নূর হোসেন প্রমুখ।