খেলাধুলা চর্চা করি, মাদকমুক্ত দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম হরিনখাইন জুনিয়র ফুটবল একাদশ কর্তৃক আয়োজিত প্রথম বারের মতো দিবারাত্রি অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে হরিণখাইন আলতাফিয়া মাদ্রাসা মাঠে এক জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন পূর্বক এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা এলডিপির সভাপতি শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত আকবর, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুর রশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা এলডিপির সভাপতি মনছুর আলম, গনতান্ত্রিক যুবদল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মোরশেদ সেলিম, শাহ আলম, মাসুদ, দিদার, সেলিম, সুমন, মনসুর প্রমুখ।
১৬ টি দলের অংশ গ্রহনে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলায় এয়াকুব গ্রুপ স্পোর্টিং ক্লাবকে কোলাগাঁও ব্রার্দাস ইউনিয়ন ফুটবল একাদশ ১-০ গোলে পরাজিত করে।
খেলায় প্রধান রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন শাহ আলম। সহকারী রেফারি ছিলেন সাইমন ও সুজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পপতি এম এয়াকুব আলী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলায় আকৃষ্ট করা, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য গ্রাম পর্যায়ে এ ধরনের ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।
এই ধরণের টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাম থেকে খেলোয়াড়দের যেমন প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে উঠবে, তেমনি পাশাপাশি দেশের তৃণমূল পর্যায়ের খেলোয়াড়রাও তাদের স্কিল বাড়ানোর সুযোগ পাবে।
এ রাজনীতিবিদ আরও বলেন, বাংলাদেশে খেলাধুলার প্রাণ ফুটবল। যদিও অনেক কারণেই ফুটবল তার সোনালি অতীত হারিয়েছে। এটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য এ ধরনের টুর্নামেন্টের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জনপ্রিয় ও আবেগময় খেলা ফুটবল। এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় মানের খেলোয়াড় তৈরি হওয়া সম্ভব। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ, নিষ্ঠা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করতেও এটি জরুরি।
জেএন/পিআর