সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ী বাসচালকদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টায় শহীদ রমিজউদ্দিন স্কুলসংলগ্ন সড়কে আন্ডারপাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেভাবে শিক্ষার্থীরা নেমে এসেছিল তার প্রতিদান তারা পেয়েছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেছিলাম। আমি চেয়েছিলাম, শিক্ষার্থীদের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। কিন্তু আন্দোলনের তৃতীয় দিন দেখি, ব্যাগের ভেতর থেকে ছাত্রদের পোশাক বের করে অনেকে ছাত্র হয়ে যাচ্ছে। তখন আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি। ব্যাগের ভেতর থেকে তারা চাইনিল কুড়াল, পাথর বের করছে। প্রশ্ন হলো, এরা তাহলে কারা? তারা তো স্কুলছাত্র হতে পারে না। পরে ওইদিন সকালে আমি অন্য একটি অনুষ্ঠানের ভিডিও কনফারেন্সের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের ঘরে ফিরে যেতে আহ্বান জানালাম। শিক্ষক- অভিভাবকদেরও আহবান জানালাম। কারণ, এ আন্দোলনের মধ্যে তৃতীয়পক্ষ ঢুকে পড়েছে। তারা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতি করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। তখন আন্দোলনকারীরা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে ফিরে যায়। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুশিক্ষিত জাতি ছাড়া দেশের উন্নতি হতে পারে না। এ জন্য আমরা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি। একটি ছেলেমেয়েও যেন বিদ্যালয়ের বাইরে না থাকে, সেদিকে নজর দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা সবসময়ই ড্রাইভারদের ট্রেনিংয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। কিন্তু ট্রেনিং না দিয়ে ড্রাইভারদের গাড়িতে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে।
পথচারী ও গাড়িচালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ফুটওভার ব্রিজ রেখে রাস্তার উপর দিয়ে বেআইনিভাবে রাস্তা পার হওয়া, এটা তো গ্রহণযোগ্য নয়। সবাইকে ট্রাফিক রুল মেনে চলতে হবে। চালকরা স্টপেজের বাইরে যত্রতত্র গাড়ি থামাতে পারবে না। এটা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের জরিমানা ও লাইসেন্স ক্যানসেল করতে হবে।
ওভারটেক সহ কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না বলে তিনি গাড়ি চালকদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক আন্ডারপাসের ভেতরে গোপনে ক্যামেরা বসাতে হবে। পর্যাপ্ত লাইটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমলাদের বলবো, কোনো সমস্যা থাকলে আমাকে সরাসরি বলবেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করে দেবো।
জয়নিউজ/আরসি