মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ: মেয়র

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন মানুষ হত্যা শুরু করে তখন আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তখন তারা ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই কালোরাত্রিতে জাতি যখন দিশেহারা তখনই নেতৃত্বশূণ্য জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। এই ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে “আই রিভোল্ট” বলে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের একত্রিত করে তিনি ২৬ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে তিনি চুপ করে বসে ছিলেন না। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের মাঠে থেকে দেশকে স্বাধীন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ।

- Advertisement -

তিনি রবিবার (১৯ জানুয়ারী) দুপুরে নগরীর ষোলশহর দুই নাম্বার গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে এসব কথা বলেন।

- Advertisement -google news follower

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পরের সরকারের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে দেশকে বের করে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগের তলা বিহীন জুড়ি থেকে দেশকে স্বনির্ভর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহীদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস হচ্ছে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। তারা ৭১ সালের মতো ২০২৪ সালেও পেছনের দরজা দিয়ে নেতাকর্মীদের এতিম করে ভারতে পালিয়ে গেছে। শেখ মুজিব পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন সেই কথা তাজউদ্দীন আহমেদের মেয়ের লিখিত বইতেও লেখা আছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। আর আওয়ামী লীগের কথিত নেতারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন। তারা ইতিহাস থেকে মেজর জিয়ার সেই স্বাধীনতার ঘোষণাকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি।

- Advertisement -islamibank

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. গোলাম কাদের নোবেল, মহানগর জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মেয়র মহোদয়ের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, বিএনপি নেতা মো. আলী, মকবুল হোসেন খোকন, সাবেক ছাত্রদল নেতা শেখ রাসেল, মহসিন কবির আপেল, আবু বক্কর শিকদার, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সামিয়াত আমিন জিসান, সালাউদ্দীন কাদের আসাদ, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শফিউল আলম শফি, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা বোরহানুল হক প্রমূখ।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM