তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের বিপদ-আপদে কল্যাণ ট্রাস্ট যেভাবে পাশে থাকে সেভাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ও পাশে থাকবে।’
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারী) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ২৮ জন সাংবাদিকের সন্তানকে ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ আয়োজনে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ।
তথ্য সচিব বলেন, ‘তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম সব সময় সাংবাদিকদের কল্যাণের বিষয়ে চিন্তা করেন। সাংবাদিকদের সন্তানদের বৃত্তি, ফেলোশিপ, অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানোসহ নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে কল্যাণ ট্রাস্টের অনুদান বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে আমরা ফান্ড বাড়াবো। কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন, তিনি এসব নিয়ে হাঁটেন না, দৌড়ান। সাংবাদিকদের কল্যাণে তিনি সব সময় আমার সাথে যোগাযোগ রাখেন এবং কাজও আদায় করে নেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘আমার জীবন শুরু সাংবাদিকতা দিয়ে। ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছি। যখন এ চাকরি থাকবে না, তখন আবার লেখালেখি তথা সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে চাই।’
সভা প্রধানের বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘সাংবাদিকদের সন্তানদের জন্য এমন একটি উদ্যোগ সত্যিই প্রসংশনীয়। আমার বিশ্বাস, তথ্য সচিব মহোদয় যতদিন থাকবেন, ততদিন সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব সাংবাদিকদের পাশে থাকবো, তারা যা চাইবে, আমার সাধ্যমত তা দেয়ার চেষ্টা করব।’
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশে এ প্রথম সাংবাদিকদের সন্তানের কল্যাণের জন্য এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকারের আমলে অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, অনেক গণমাধ্যমের কর্মীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখা হয়েছে, পুরো সিস্টেমকে নাজুক পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল তারা। অনেক সংবাদকর্মী রয়েছেন, যাদের সন্তানদের টিউশন ফি প্রদান করতে পারছে না। সেজন্য তাদের পাশে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। ভবিষ্যতে এ তহবিল আরও যাতে বৃদ্ধি করা যায়, সে জন্য আমরা কাজ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা প্রণোদনা বাড়ানোর জন্য তথ্য সচিব মহোদয়ের কাছে নীতিমালা পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া আমরা বয়স্ক বা প্রবীণ সাংবাদিকদের ভাতার আওতায় আনার জন্য চেষ্টা করছি। যাতে প্রবীণ সময়ে একটা যাতে ভাতা দিয়ে অন্তত চলতে পারে।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহ নওয়াজ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশের আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, দৈনিক কালের কণ্ঠ চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোস্তফা নঈম, ডেইলি পিপলস ভিউ এর সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর প্রমুখ।
জেএন/এমার