চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিনের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন মিরসরাইয়ের ২৭টি ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তারা।
গতকাল সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে মিরসরাই উপজেলা কনফারেন্স কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যাংক অফিসাররা জানান, প্রতি মাসে কৃষি লোনের সার্টিফিকেট মামলা সংক্রান্ত একটি মিটিং মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিনের সভাপতিত্বে ও মিরসরাই কৃষি ব্যাংক ম্যানেজারের আয়োজনে উপজেলা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুর ৩ টায় জানুয়ারি মাসের মিটিং নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মিরসরাইয়ে পরিচালিত প্রায় ২৭ টি ব্যাংকের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত হন।
মিটিংএর নির্ধারিত সময় বিকাল ৩ টায় হলেও ইউএনও মাহফুজা জেরিন মিটিং স্থলে প্রবেশ করেন প্রায় দেড় ঘন্টাপরে সাড়ে ৪টার দিকে।
অভিযোগ উঠেছে ইউএনও মাহফুজা জেরিন বিলম্বিত সময়ে মিটিং স্থলে প্রবেশ করেই ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করেন।
এসময় নাস্তারত অবস্থায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের উত্তেজিত হয়ে প্রশ্ন করেন, ব্যাংকের ম্যানেজাররা আসেননি কেন? কিন্তু কেউ কোন উত্তর দেয়ার আগেই তাদেরকে নাস্তা করতে বারণ করেন ও সকলকে মিটিং কক্ষ থেকে তাড়িয়ে দেন।
তার এমন আচরণে উপস্থিত ব্যাংকাররা হতভম্ব হয়ে পড়েন ও মুখের নাস্তা রেখেই স্থান ত্যাগ করেন।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মিরসরাইয়ের ব্যাংক পাড়ায় অসন্তোষ বিরাজ করছে। এছাড়া ইউএনও মাহফুজা জেরিনের এমন উদ্যোতপুর্ণ আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ২৭ টি ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রিমিয়ার ব্যাংক মিরসরাই শাখার ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল জামান ইকবাল বলেন, আমাদের ম্যানেজার স্যার এর প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে মিটিং এ পাঠানো হয়।
মিটিং এ ইউএনও ম্যাডাম আসতে বিলম্ব হওয়ায় আমাদের নাস্তা সরবরাহ করা হয়। আমরা নাস্তা করা কালিন তিনি উত্তেজিত অবস্থায় কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করেই চেঁচামেচি শুরু করেন।
তিনি বলেন, ম্যানাজার না এসে আপনারা কেন এসেছেন? যান সবাই বের হয়ে যান, নাস্তা করা লাগবেনা রাখুন নাস্তা। এতে আমরা অপমানিত হয়ে মুখের নাস্তা রেখেই বের হয়ে যাই।
পুবালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা শরিফ উদ্দিন বলেন, একজন ইউএনওর এতো নোংরা আচরণ এর আগে আমরা দেখি নাই। মিটিংএ সবাই শিক্ষিত লোক ছিল, সবাই ব্যাংক কর্মকর্তা। তার কোন আপত্তি থাকলে শালীনতার সাথে বলতে পারতেন।
কিন্তু তিনি সেটি না করে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে সবাইকে কনফারেন্স কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছেন। আমরা এর উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
বিষয়টি জানতে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বেশ কয়েকবার তার সরকারি নাম্বারে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেএন/আশরাফ/পিআর