জেনারেল, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (জিএসটি) গুচ্ছভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাতটি ইতোমধ্যে আলাদা ভর্তি পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে।
এছাড়া, চারটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে।
গত সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম বজায় রাখার নির্দেশনা দেয়।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা বলছেন, প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইন ও একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলে। একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া তারা গুচ্ছে ফিরতে পারবেন না।
এরই মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি গুচ্ছ থেকে বের হতে চায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
এছাড়া, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে।
গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে গতকাল ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে।
উপাচার্য ড. রেজাউল করিম জানান, “আমরা ইতোমধ্যে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এখন গুচ্ছে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”
এদিকে, ইউজিসির সামনে শিক্ষার্থীরা ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা চালু রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন।
তবে, উপাচার্যরা বলছেন, গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনা কমার বদলে জটিলতা আরও বেড়েছে, তাই তারা পৃথক ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে। এই অবস্থায় গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জেএন/পিআর