নগরের পাহাড়তলী বাজারে গণপিটুনিতে নিহত মহিউদ্দিন সোহেলের স্বজনদের কান্নায় মঙ্গলবার ভারি হয়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তন। পরিবারের পক্ষ থেকে এসময় প্রশ্ন রাখা হয়, ‘সোহেল যদি চাঁদাবাজই হতো, কোন থানায় তাঁর নামে কেন একটি মামলা কিংবা জিডিও কেন নেই?’
এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সোহেলের বাবা আবদুল বারেক ও মা শেফালী বেগম। লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকেন সোহেলের ছোট ভাই শাকিরুল ইসলাম শিশিরও।
মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ‘মহিউদ্দিন সোহেলের পরিবার-স্বজন-সহযোদ্ধাদের’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: পাহাড়তলীতে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
লিখিত বক্তব্যে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মহিউদ্দিন সোহেল চাঁদাবাজ ছিলেন না। তিনি রেলওয়ের প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সোহেলকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও অনৈতিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সমাজবিরোধীরা তাঁকে খুন করে।
উল্লেখ, ৭ জানুয়ারি নগরের পাহাড়তলী কাঁচাবাজার এলাকায় মহিউদ্দিন সোহেল গণপিটুনিতে মারা যান। সোহেল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহসম্পাদক ছিলেন। দায়িত্ব পালন করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক এবং সরকারি কমার্স কলেজের সাধারণ সম্পদক হিসেবে। এছাড়াও তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার নেতা ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সোহেলের স্ত্রী নিগার সুলতানা, সন্তান ফাইয়াজ তাজ মাহির, আয়ান তাজ মাশরি, বোন রাজিয়া সুলতানা, নাজনিন সুলতানা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শওকত বাঙালি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাত হোসেন, গাফফার-ই-রাসেল, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।