মহানগরীকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে মন্তব্য করে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আমাদের এই চট্টগ্রাম একটি ঐতিহ্যবাহী শহর। এই চট্টগ্রাম নগরী হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী। আজকে পাহাড় কাটার কারণে পাহাড় ধসে ৫৬ জনেরও বেশি মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তারাতো গরীব মানুষ, বস্তির মানুষ, তাদের কেনো প্রাণ দিতে হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন আপনারা তাদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেননি। আজকের এই র্যালি সর্বস্তরের চট্টলার জনগণ পেশাজীবী, শ্রমিক মেহনতি মানুষ, সাংবাদিক, আলেম উলামা, ইমামসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এইটা শান্তিপূর্ণ এটা নন-পলিটিক্যাল অনলি ফর চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের আজকের এই র্যালি। আমি নগরীর জলাবদ্ধতার ব্যাপারে স্পষ্ট ভাবে জামায়াতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করছি সরকার যে কোন সময় যে কোনো কাজের জন্য মহানগরী জামায়াত আপনাদের যে কোন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করার জন্য এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যখনই ডাক দেবেন আমরা আপনাদের পাশে থাকব।
তিনি আরও বলেন আপনাদেরকে আমরা সহযোগিতা করব। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় আপনি যখনই চট্টগ্রামের যে কোন কাজের জন্য মহানগরী জামায়াতে সবস্তরের জনশক্তিকে যখনই ডাক দিবেন আমরা আপনার পাশে দাঁড়াবো। আমরা আর জলাবদ্ধতা দেখতে চাই না। তাই ৫১ টি খাল চট্টগ্রামে আজ অবৈধভাবে দখল হয়ে গিয়েছে। বিশেষভাবে কর্ণফুলীতে অবৈধ দখলদারদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সম্মানিত বন্দরের চেয়ারম্যান সকল প্রকার লিজ বাতিল করে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা সব ভেঙে দিতে হবে।
কর্ণফুলী নদীর সীমানা অনুসারে যাতে জোয়ার ভাটার কর্ণফুলী হয় সেটা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমরা দেখতে চাই।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে বণার্ঢ্য র্যালি উক্তর সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি জননেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতি বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, নগর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, নগর সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, ডাঃ একেএম ফজলুল হক ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান প্রমুখ।
নগর নায়েবে আমীর পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন আজকে এই সমাবেশে আমি প্রথমে স্মরণ করছি ২০২১ সালে জলাবদ্ধতায় যারা পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। অটোরিক্সা চালক সুলতান ও যাত্রী খাদিজা বেগম, মুরাদপুরে খালে পড়ে মারা যান সালেহ আহমদ এরপর আগ্রাবাদ এলাকায় নালায় পড়ে মারা যাওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া সহ যারা নালায় পড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
এই যে কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরেও জলাবদ্ধতার কোনো সমাধান হলো না। কোনো ঘটনা ঘটলেই সিডিএ সিটি কর্পোরেশনকে দোষ দেন এবং সিটি কর্পোরেশন সিডিএ কে দোষ দেন। আমার পরস্পরের দোষারোপের সংস্কৃতি আর দেখতে চাই না। এখন একটি সমঝোতার সমাজ শুরু হয়েছে, সমন্বয়ের সমাজ শুরু হয়েছে, ঐক্যবদ্ধতার সমাজ শুরু হয়েছে । এইভাবে জাতীয় ঐক্যবদ্ধ থেকে জাতি গঠন করবে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতে ইসলামী ইনশাল্লাহ। অতীতের মেয়রেরা কোটি কোটি টাকা কি করেছেন তদন্ত করে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানান, এবং জলাবদ্ধতার নামে এই প্রজেক্ট কে নবায়নে প্রজেক্টে পরিণত করেছে। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা বিদেশে সম্পদ পাচার করেছে এবং তারা নিজেরাই সম্পদের অধিকার হয়েছে কিন্তু চট্টগ্রাম মানুষের কোন সমস্যার সমাধান হয়নি।
উক্ত বণার্ঢ্য র্যালি প্রেস ক্লাবে থেকে শুরু করে জামাল খান চেরাগী পাহাড় মোড়, আন্দরকিল্লা লালদিঘি, কোতোয়ালি মোড় হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নগর কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আমির হোছাইন, হামেদ হাসান এলাহী, ফখরকে জাহান সিরাজী সবুজ, সদরঘাট থানা আমীর এম এ গফুর, পাঁচলাইশ থানা আমীর মাহবুবুল হাসান রুমী প্রমুখ।
জেএন/এমআর