জমে ওঠেছে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মসলাপণ্য বিকিকিনি জমজমাট। জিরা, এলাচির ঝাঁজ বেড়েছে। কমেছে গোলমরিচ, হলুদ ও ধনিয়া।
চাক্তাইÑখাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সভাপতি সোলেয়মান বাদশা বলেন, কোন জিনিসের দাম এবার বেশি বৃদ্ধি পায়নি। প্রতিটি পণ্যসহনীয় পর্যায়ে আছে এবং সরবারহ প্রচুর আছে। কিছু পণ্যের দাম বেশি হওয়ার কারণ, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন শুধু মাত্র ঢাকা চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক হওয়ায় পরিবহনের সংকট ও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যে গাড়িটা আগে ১৮ টন থেকে ২০ টন পণ্য আনতো এখন আনছে ১৩ টন এবং এর উপরে বহন করা যাচ্ছে না। চল্লিশ হাজার টাকার কমে কোন গাড়ি পাওয়া যায় না । পরিবহনের সমস্যা সমাধান করা গেলে দাম আরো সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
সম্প্রতি মসলার আড়ত ও পাইকারি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিরা বিক্রি হচ্ছে তিনশ’ ২০ টাকায়। আগে যা ছিলো দুইশ’ ৯০ টাকা। আমদানি কম এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পাঁচশ’ ডলার বেড়ে দুই হাজার নয়শ’ ডলার হওয়াতে বৃদ্ধি পেয়েছে জিরা দাম।
আগে বিক্রি হতো এক হাজার ৫০ টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রভাব পড়েছে এলাচির ওপর। গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে চারশ’ ৫০ টাকা আগে বিক্রি হয়েছে নয়শ’ টাকায়।
আগের তুলানায় দাম কমেছে অর্ধেক। অপরির্বতনীয় রয়েছে লবঙ্গের দাম বিক্রি হচ্ছে আটশ’ ৮০ থেকে নয়শ’ টাকায়। কমেছে হলুদ ও ধনিয়ার দাম। হলুদ বিক্রি হচ্ছে একশ’ সাত থেকে একশ’ পাঁচ টাকায়। ধনিয়া বিক্রি হচ্ছে নব্বই থেকে পঁচানব্বই টাকায়। আগে বিক্রি হতো একশ’ টাকার ওপরে।
অন্যদিকে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেল, দারচিনি বিক্রি হচ্ছে দুইশ’ ৩০ টাকা করে , লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে নয়শ’ থেকে নয়শ’ ৫০, জিরা (সিরিয়া) বিক্রি হচ্ছে চারশ’ টাকা করে, জয়ত্রি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭৫০ টাকা করে, জায়ফল বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ’ টাকা , হলুদ বিক্রি হচ্ছে একশ’ ১৫ টাকা (ইন্ডিয়ান) এবং দেশি বিক্রি হচ্ছে একশ’ ২০ টাকা করে।
খুচরা ব্যবসায়িক জয়নাল জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর বিক্রি নাই বললে চলে। আগে শনি বুধবারে দুপুরবেলা না খেয়ে বিক্রি করতাম। কিন্তু এখন বসে থেকে সময় পার করতে হয় । পণ্য আছে প্রচুর কিন্তু ভোক্তাদের চাহিদা নাই । এরকম পরিস্থিতি কোনো বছর ছিলো না। কোরবানের এক মাস আগে থেকে বিক্রি শুরু হয়। ভোক্তারা এসে পণ্য নিয়ে যেতো কিন্তু সেই চাঞ্চল্যতা আমরা এইবার পাচ্ছি না। যার কারণ আমাদের কাছে অজানা রয়েছে।
দারচিনি বিক্রি হচ্ছে দুইশ’ ২৫ টাকা থেকে দুইশ’ ৫০ টাকায়। বেড়েছে এলাচি দাম প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৮০ টাকা।