বিএলআরআই/গবেষণার ১৮টি উটপাখি কর্মকর্তাদের পেটে!

অপরাধ ডেস্ক :

ঢাকার সাভারের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) তার উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলেও, বর্তমান পরিস্থিতি একেবারেই বিপরীত।

- Advertisement -

প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্তারা অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকছেন প্রাণী কেনাকাটায়, অথচ গবেষণার বাস্তবায়ন ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমে সেভাবে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

- Advertisement -google news follower

কোটি কোটি টাকা খরচ করে নানা জাতের প্রাণী উদ্ভাবন করা হলেও, মাঠ পর্যায়ের খামারগুলোতে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মধ্যে কয়েকটি ছাড়া বাকি সবই খামারিদের জন্য অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে, ফলে গবেষণা কার্যক্রম মাঠে ‘মরা’ হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গরু ও খাসির বিকল্প মাংসের জোগান দিতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিএলআরআই একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয়, যার উদ্দেশ্য ছিল উটপাখি সম্প্রসারণ। এই প্রকল্পের ফল ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাওয়ার কথা ছিল।

- Advertisement -islamibank

২০২০ সালে আফ্রিকা থেকে প্রথমে সাতটি উটপাখি আনা হয়েছিল এবং পরে অধিকতর গবেষণার জন্য আরও ১৫টি অপ্রাপ্তবয়স্ক উটপাখি আমদানি করা হয়।

প্রকল্পের পরিচালক মো. সাজেদুল করিম সরকার জানিয়েছিলেন, আফ্রিকা থেকে আনা এসব উটপাখি বাংলাদেশের আবহাওয়ার উপযোগী এবং সহজেই পালন করা সম্ভব।

প্রাপ্তবয়স্ক একটি উটপাখি ১০০ থেকে ১৫০ কেজি ওজনের হয়ে থাকে এবং আড়াই বছর বয়সে ডিম দিতে পারে।

একেকটি উটপাখি বছরে ২০ থেকে ২৫টি ডিম দেয়। এসব পাখি তিনটি দেশীয় গরুর সমান মাংসের চাহিদা পূরণে সক্ষম, যা ছিল গবেষণার অন্যতম উদ্দেশ্য।

এ বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাংস বাজারজাত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে মাঠ পর্যায়ে উটপাখি এখনও ‘ডুমুরের ফুল’।

বর্তমানে সেখান থেকে মাত্র দুটি জোড়া উটপাখি বেঁচে রয়েছে, বাকিরা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গবেষণার জন্য আনা এই উটপাখি গুলোকে, মাংসের স্বাদ পরীক্ষা করতে, একে একে খাওয়া হয়েছে কর্তাদের দ্বারা। গবেষণার ১৮টি উটপাখি কর্মকর্তাদের পেটে চলে যায়।

শুধু উটপাখি নয়, ২০২৩ সালে গবেষণার ৩৮টি মোরগ জবাই করে খাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে পোলট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক ড. মো. সাজেদুল করিম সরকার বলেন, ২২টি উটপাখির প্রতিটিতে ৫০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। চার-পাঁচটি মারা গেছে। বাকিগুলোর মাংসের গুণাগুণ পরীক্ষা করতে জবাই করা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, বিএলআরআইর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে।

তবে, বিএলআরআই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তা জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাতে হবে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM