পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও চট্টগ্রামে আইনজীবী এহতেশামুল পারভেজ সিদ্দিকী জুয়েলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রহিমা হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর অনেকটা সময় পার হলেও কোন আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত চলছে। শীঘ্রই এ হত্যা মামলার জট খুলবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিহত রহিমার মা বিদুরা বেগম জয়নিউজকে বলেন, ‘আমরা আমার মেয়ের হত্যার বিচারের অপেক্ষায় আছি। পাঁচ মাস পার গেছে। কিন্তু পুলিশ এখনো একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি।’ দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। এ ঘটনায় রহিমার স্বামী অ্যাডভোকেট এহতেশাম জড়িত থাকতে পারে বলেও দাবি করেন বিদুরা বেগম।
এদিকে অ্যাডভোকেট এহতেশাম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে জয়নিউজকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী’র সঙ্গে আমার কোন মনোমালিন্য ছিল না। সে আমার পুরো পরিবারকে আগলে রাখত। আমাদের মাঝে কখনো কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া পর্যন্ত হয়নি। আমিও চাই এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। আসল অপরাধী বেরিয়ে আসুক।’
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জয়নিউজকে বলেন, ‘ঘটনার এতদিন পরেও হত্যাকাণ্ডের কোন ক্লু উদঘাটন না হওয়া দুঃখজনক।’ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান জয়নিউজকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করি শীঘ্রই এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারব।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে নগরের চান্দগাঁও থানার ফরিদাপাড়ার নিজ বাড়িতে আইনজীবী এহতেশামের স্ত্রী বিবি রহিমাকে (২৬) শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এসময় তিনি চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ঘটনার পর নিহত রহিমার মা বিদুরা বেগম বাদী হয়ে নগরের চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সে সময় পারিবারিক কলহ, সম্পত্তি ও ব্যক্তিগত বিরোধ- এ তিন বিষয়কে সামনে রেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। পুলিশ এ ঘটনার কোন কুল-কিনারা করতে না পারায় পরবর্তীতে মামলার তদন্তভার নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়।